০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কামরুলের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে জামায়াতের শীর্ষ নেতা তাহেরকে

জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনি মাঠ গোছাতে তৎপর রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোন আসন থেকে লড়বেন সেটিও প্রায় নির্ধারণ করে ফেলেছেন। নির্বাচনি প্রচারণাও শুরু করেছেন। তবে অনেকের আগ্রহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সামনে দিকে পরিবর্তনের নতুন নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের  নিয়ে। দলটির নেতারাও ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে বিএনপির হেভিওয়েট সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ কামরুল হুদার ভোটের মাঠে লড়াই করবেন জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতা ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের। দেশের প্রত্যেকটি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। কারণ তাদের নির্বাচনি আসনগুলোতে বিএনপির অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে। আবার জামায়াতে ইসলামীও শক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। বিশেষ করে ভোটের মাঠে সমর্থনের ঝড় তুলতে ব্যর্থ হলে ফলাফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। জানা গেছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। পাশাপাশি জীবনের দীর্ঘসময় ও অর্থ ব্যয় করে দল এবং দলীয় নেতাকর্মীদের রেখেছেন খুব চাঙ্গাভাবে। ফলে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে মোঃ কামরুল হুদা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। সাধারন শ্রেনী ভোটারগন সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ কামরুল হুদাকে প্রতিনিয়ত সমর্থন জানিয়ে আসছেন।  সূত্রমতে, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোঃ কামরুল হুদা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এনেতার বিপক্ষে লড়তে হবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাঃ মোঃ তাহেরকে। গত প্রায় ১৬ বৎসর রাজনৈতিক মাঠ থেকে অন্তরালে থাকা জামায়াত ইসলামীর নড়বড়ে অবস্থান সৃষ্টি হয়। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়া খবরের পর থেকে, চৌদ্দগ্রাম জামায়াত শিবিবের নেতাকর্মীরা উৎশৃংখল দাঙ্গাহাঙ্গামা এবং দখলের রাজনীতিক কর্মকান্ড অব্যাহত চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে এ অবস্থায় জামায়াত নেতা ডাঃ মোঃ তাহের নিজ আসনে- সাধারণ ভোটারদের কীভাবে-কতটুকু মন জয় করতে পারবেন, তার ওপর নির্ভর করবে ভোটের ফলাফল। অবশ্য এ বিষয়ে ভোটের আগে মাঠের সত্যিকার অবস্থা জানতে, ভোটার ও উৎসুক জনতাকে নির্বাচনি প্রচারণা পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতেই হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

শৈলকুপায় জমি দখল নিয়ে দাদাগিরি! পরিবারের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ

বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কামরুলের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে জামায়াতের শীর্ষ নেতা তাহেরকে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনি মাঠ গোছাতে তৎপর রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোন আসন থেকে লড়বেন সেটিও প্রায় নির্ধারণ করে ফেলেছেন। নির্বাচনি প্রচারণাও শুরু করেছেন। তবে অনেকের আগ্রহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সামনে দিকে পরিবর্তনের নতুন নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের  নিয়ে। দলটির নেতারাও ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে বিএনপির হেভিওয়েট সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ কামরুল হুদার ভোটের মাঠে লড়াই করবেন জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতা ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের। দেশের প্রত্যেকটি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। কারণ তাদের নির্বাচনি আসনগুলোতে বিএনপির অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে। আবার জামায়াতে ইসলামীও শক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। বিশেষ করে ভোটের মাঠে সমর্থনের ঝড় তুলতে ব্যর্থ হলে ফলাফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। জানা গেছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। পাশাপাশি জীবনের দীর্ঘসময় ও অর্থ ব্যয় করে দল এবং দলীয় নেতাকর্মীদের রেখেছেন খুব চাঙ্গাভাবে। ফলে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে মোঃ কামরুল হুদা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। সাধারন শ্রেনী ভোটারগন সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ কামরুল হুদাকে প্রতিনিয়ত সমর্থন জানিয়ে আসছেন।  সূত্রমতে, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোঃ কামরুল হুদা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এনেতার বিপক্ষে লড়তে হবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাঃ মোঃ তাহেরকে। গত প্রায় ১৬ বৎসর রাজনৈতিক মাঠ থেকে অন্তরালে থাকা জামায়াত ইসলামীর নড়বড়ে অবস্থান সৃষ্টি হয়। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়া খবরের পর থেকে, চৌদ্দগ্রাম জামায়াত শিবিবের নেতাকর্মীরা উৎশৃংখল দাঙ্গাহাঙ্গামা এবং দখলের রাজনীতিক কর্মকান্ড অব্যাহত চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে এ অবস্থায় জামায়াত নেতা ডাঃ মোঃ তাহের নিজ আসনে- সাধারণ ভোটারদের কীভাবে-কতটুকু মন জয় করতে পারবেন, তার ওপর নির্ভর করবে ভোটের ফলাফল। অবশ্য এ বিষয়ে ভোটের আগে মাঠের সত্যিকার অবস্থা জানতে, ভোটার ও উৎসুক জনতাকে নির্বাচনি প্রচারণা পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতেই হবে।