
বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। আলোকিত জীবন গড়নে বইয়ের বিকল্প নেই। জীবনের বন্ধ কবাট খুলে দিতে বইয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম ক্রমেই বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। কেও বই পড়তে চায় না। প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে স্মার্ট ফোনের জয়জয়কার। বই পড়তে সময় নাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্ট ফোনে চোখ রাখলেও বইয়ের পাতায় চোখ ফেলার মতো সময় নেই। পাঠক খড়ায় পাঠাগার। বইয়ের এই বিরুদ্ধ সময়ে মানুষকে বইমুখী করতে মোহনগঞ্জের চলন্ত পাঠাগার হাতে নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাঠাগার যাচ্ছে পাঠকের কাছে। রেলস্টেশন, মেলা,বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, রেলের বগি, সহ বিভিন্ন জমায়েতে বইয়ের ঝোলা নিয়ে যাচ্ছে চলন্ত পাঠাগার। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বুক চিরে প্রবাহিত শিয়ালজানি খালের ওয়াকওয়েতে নির্মিত ছত্রছায়ায় বসে চলন্ত পাঠাগারের বই আড্ডা। এতে বই নিয়ে মেতে উঠে শিশু কিশোররা। বইপাঠে চলন্ত পাঠাগারের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানান। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই সাংবাদিক, লেখক শ্যামল চৌধুরী নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন চলন্ত পাঠাগার।