০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছে? কেডিএস পার্কিংয়ের যানজটে নাকাল জনজীবন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কেডিএস পার্কিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকেই মহাসড়কের একটি নির্দিষ্ট অংশে প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট দেখা দিচ্ছে। দিনের শুরু থেকে রাত অবধি সেই একই দৃশ্য—সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক, থেমে যাওয়া যানচলাচল, আর পথচারীদের অসহায় প্রতীক্ষা।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই যানজটে আটকে পড়ছে জরুরি সেবা—অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, রোগীবাহী গাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন। এতে করে জীবন রক্ষার লড়াইয়ে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুলশিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ প্রতিনিয়ত এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এক ক্ষুব্ধ যাত্রী বলেন, “সকাল বেলায় বের হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কেউ শুনছে না, দেখছে না—এই জন দুর্ভোগ কি কোনো উন্নয়নের অংশ?”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কেডিএস সংলগ্ন মহাসড়কে চলমান যানজট নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব সাধারণ মানুষ। অভিযোগের অন্ত নেই, অনুরোধের শেষ নেই। কিন্তু বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসন কী আসলেই বিষয়টি নিয়ে অবগত নয়, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব দর্শক হয়ে আছে? কেন এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধানে নেই কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা?

একজন পথচারী বলেন—“কেডিএস ব্যবসা করুক, এতে আপত্তি নেই। কিন্তু তার পার্কিংয়ের কারণে পুরো মহাসড়ক যদি অচল হয়ে পড়ে, তাহলে সেটা জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায়।”

এটি কেবল যানজট নয়—এটি এখন জননিরাপত্তা, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে রূপ নিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা না গেলে, ভবিষ্যতে এটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্থানীয়রা অবিলম্বে সড়ক অবরোধমুক্ত, পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা ও নিয়মিত আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন—প্রশাসন এবার অন্তত ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

শৈলকুপায় জমি দখল নিয়ে দাদাগিরি! পরিবারের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ

​প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছে? কেডিএস পার্কিংয়ের যানজটে নাকাল জনজীবন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কেডিএস পার্কিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকেই মহাসড়কের একটি নির্দিষ্ট অংশে প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট দেখা দিচ্ছে। দিনের শুরু থেকে রাত অবধি সেই একই দৃশ্য—সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক, থেমে যাওয়া যানচলাচল, আর পথচারীদের অসহায় প্রতীক্ষা।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই যানজটে আটকে পড়ছে জরুরি সেবা—অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, রোগীবাহী গাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন। এতে করে জীবন রক্ষার লড়াইয়ে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুলশিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ প্রতিনিয়ত এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এক ক্ষুব্ধ যাত্রী বলেন, “সকাল বেলায় বের হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কেউ শুনছে না, দেখছে না—এই জন দুর্ভোগ কি কোনো উন্নয়নের অংশ?”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কেডিএস সংলগ্ন মহাসড়কে চলমান যানজট নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব সাধারণ মানুষ। অভিযোগের অন্ত নেই, অনুরোধের শেষ নেই। কিন্তু বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসন কী আসলেই বিষয়টি নিয়ে অবগত নয়, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব দর্শক হয়ে আছে? কেন এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধানে নেই কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা?

একজন পথচারী বলেন—“কেডিএস ব্যবসা করুক, এতে আপত্তি নেই। কিন্তু তার পার্কিংয়ের কারণে পুরো মহাসড়ক যদি অচল হয়ে পড়ে, তাহলে সেটা জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায়।”

এটি কেবল যানজট নয়—এটি এখন জননিরাপত্তা, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে রূপ নিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা না গেলে, ভবিষ্যতে এটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্থানীয়রা অবিলম্বে সড়ক অবরোধমুক্ত, পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা ও নিয়মিত আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন—প্রশাসন এবার অন্তত ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে।