
রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্র লীগ সহ সভাপতি দীপঙ্কর দে তার আত্মীয় বাড়ি পটিয়ায় বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার রাতে শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাকে এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা ধরে থানায় নিয়ে আসে এবং ওসি কে গ্রেফতার করতে অনুরোধ করে। ওসি তাতে অস্বীকৃতি জানান। ওসি’র বক্তব্য তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ, মামলা নেই। অপরদিকে এনসিপি- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের বক্তব্য আটককৃতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আছে,এ নিয়ে বাক বিতণ্ডা হয়।এক পর্যায়ে পুলিশ বাকবিতন্ডাকারী এনসিপি ও ছাত্রদের বেধড়ক লাঠি চার্জ করে।এতে চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, এনসিপির মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সাইূুদুর রহমান সহ অন্তত ৩০জন আহত হয় এবং অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরদিন ২ জুলাই, বুধবার, সকাল ১০ টার দিকে এনসিপি ও ছাত্র নেতারা থানার গেইট ও সংলগ্ন চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান গ্রহন, বিক্ষোভ শ্লোগান সহকারে অবরোধ করে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বান্দরবান, কক্সবাজারের যাত্রী সাধারন সীমাহীন দুর্ভোগে পতিত হয়। ৯ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। এ দিকে বিক্ষোভকারীর একটি অংশ চট্টগ্রামে খুলশী এলাকায় ডিআইজি কার্যালয়ের সম্মুখে অবস্থান গ্রহন করে।এ সময় খুলশী, জিইসি এলাকায় যান চলাচল অচল হয় ও জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট,পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনাবাহিনী ও র্যাবের একটি টীম আন্দোলন কারীদের সাথে এক আলোচনা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ কার্যালয় হতে বের হয়ে আন্দোলন কারীদের সাথে দেখা করে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো:নাজমুন নূর( জায়েদ নুর)কে প্রত্যাহারের কথা জানান। আন্দোলন কারীদের অপর দুই দফা দাবী এ এস পি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার ঢাকার হেড অফিস হতে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান। এ’ আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ’ দিকে চন্দনাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা কে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায়।