
গাজীপুরের মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে গিয়ে নিজেই ‘চোর’ হিসেবে মামলার মুখোমুখি হয়েছেন—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীরা।ঘটনার সূত্রপাত হয় গত সপ্তাহে, যখন স্থানীয় এক স্বতন্ত্র সাংবাদিক অবৈধ টোল আদায়, পণ্যবাহী গাড়ি থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। সাংবাদিকের দাবি, তিনি বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করেছিলেন, যাতে দেখা যায় কতিপয় পুলিশ সদস্য সড়কে দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে গাড়ি থামিয়ে অর্থ আদায় করছেন। সাংবাদিকের ভাষ্যমতে, এই তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি জানতে পেরে ওসি আয়ুব আলী ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
সাংবাদিকের অভিযোগ:
আমি কেবল পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। ওসি সাহেব নিজেকে রক্ষার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে চোর বানাতে চেয়েছেন। আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে, আমি শীঘ্রই আদালতের শরণাপন্ন হবো।
স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন একে ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার ও ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
এই বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আয়ুব আলী বলেন, “সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তার সাথে সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে জানায় গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি:
এ ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ মাওনা চৌরাস্তা ও হাইওয়ে থানার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। বক্তব্যে তারা বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা না থাকলে সত্য প্রকাশ মরে যাবে।