০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাটগ্রামে পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

  • Majharul Islam
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • 29

লালমনিরহাট জেলার  পাটগ্রাম উপজেলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘ*র্ষে “৮জন পুলিশ ও বিএনপির ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়েছে” ।

         বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাথর সহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্যে বহনকারী প্রত্যেক ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৫০০ করে চাঁদা গ্রহণ করে বিএনপির প্রভাবশালী স্থানীয় কিছু নেতা ।  চাঁদাবাজি বন্ধ ও নতুন বাংলাদেশ চাঁদাবাজি মুক্ত ও সন্ত্রাসী মুক্ত করার লক্ষ্যে বুড়িমারী লালমনিরহাট -রংপুর মহাসড়কে ২জুলাই২০২৫ইং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস পাটগ্রাম উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির দু’জন কর্মীকে আটক করে এক মাসের কা’রা’দ’ণ্ড দেয় পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন।  পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান ।পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দুজন চাঁদাবাজিকে ১ লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ বেলাল  মোঃ সোহেল বিএনপির একটি সুত্র দাবী করছেন,  বুধবার (২জুলাই ২০২৫) বিএনপির দু’জন কর্মীকে অন্যায় ভাবে আটক করে পুলিশ । এ খবর পেয়ে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাতে বিএনপির নেতা কর্মীরা পাটগ্রাম থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তোপের মুখে মধ‌্যরাতে ওই দু’জন ছেড়ে দেয় পুলিশ।  গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পর্যায়ক্রমে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। মুলত গ্রেফতারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরী হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এসময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির প্রায় ১৫ জনের মতো আহত বলে দাবী বিএনপির । পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতা তাদের দলবল নিয়ে থানায় হঠাৎ আক্রমণ করে। এমতাবস্থায় পুলিশ নিরাপত্তার জন্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিএনপির লোকজন বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়। এসময় ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

শৈলকুপায় জমি দখল নিয়ে দাদাগিরি! পরিবারের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ

পাটগ্রামে পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

লালমনিরহাট জেলার  পাটগ্রাম উপজেলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘ*র্ষে “৮জন পুলিশ ও বিএনপির ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়েছে” ।

         বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাথর সহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্যে বহনকারী প্রত্যেক ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৫০০ করে চাঁদা গ্রহণ করে বিএনপির প্রভাবশালী স্থানীয় কিছু নেতা ।  চাঁদাবাজি বন্ধ ও নতুন বাংলাদেশ চাঁদাবাজি মুক্ত ও সন্ত্রাসী মুক্ত করার লক্ষ্যে বুড়িমারী লালমনিরহাট -রংপুর মহাসড়কে ২জুলাই২০২৫ইং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস পাটগ্রাম উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির দু’জন কর্মীকে আটক করে এক মাসের কা’রা’দ’ণ্ড দেয় পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন।  পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান ।পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দুজন চাঁদাবাজিকে ১ লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ বেলাল  মোঃ সোহেল বিএনপির একটি সুত্র দাবী করছেন,  বুধবার (২জুলাই ২০২৫) বিএনপির দু’জন কর্মীকে অন্যায় ভাবে আটক করে পুলিশ । এ খবর পেয়ে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাতে বিএনপির নেতা কর্মীরা পাটগ্রাম থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তোপের মুখে মধ‌্যরাতে ওই দু’জন ছেড়ে দেয় পুলিশ।  গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পর্যায়ক্রমে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। মুলত গ্রেফতারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরী হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এসময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির প্রায় ১৫ জনের মতো আহত বলে দাবী বিএনপির । পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতা তাদের দলবল নিয়ে থানায় হঠাৎ আক্রমণ করে। এমতাবস্থায় পুলিশ নিরাপত্তার জন্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিএনপির লোকজন বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়। এসময় ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।