
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ঘটে গেল এক নির্মম পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। ২ জুলাই (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে এক স্বামী। বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া স্ত্রী লাভলি আক্তার (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টার দিকে।ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত লাভলি আক্তার ও তার স্বামী ওয়াহেদ আলী কবিরাজ (৭০) দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। প্রায়ই তাদের ঝগড়ার শব্দ শোনা যেত প্রতিবেশীদের কানে।২ জুলাই রাতে যখন পুরো পাড়া ঘুমিয়ে, তখন রাত প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে ভেসে আসে চিৎকারের শব্দ। লাভলি আক্তার তখন ঘুমন্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, স্বামী ওয়াহেদ আলী হঠাৎই ছুরি নিয়ে লাভলি আক্তারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। বুকে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে একের পর এক ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।স্ত্রীর করুণ আর্তনাদে পাশের ঘরে থাকা তাদের ছোট ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় লাভলি আক্তারকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ৩ জুলাই রাত ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।ঘটনার পর স্থানীয়রা পালাতে চেষ্টা করা স্বামী ওয়াহেদ আলী কবিরাজকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।