
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক বীমা কোম্পানির ম্যানেজার গ্ৰাহকদের রোষানলের শিকার হয়েছে।
রোষানলের শিকার ঐ নাম ব্যক্তির নাম ছাত্তার মিয়া। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সর্বানন্দ ইউনিয়নের কদমতলা গ্ৰামের মৃত্যু জবির উদ্দিনের ছেলে।
তিনি ফারিষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সুন্দরগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
সোমবার (৭জুলাই) সকালে উপজেলার
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বন্দর এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গ্ৰাহকদের অবগত না করেই কিছুদিন আগে ফারিষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা শাখা অফিসটি বন্ধ করে দেয় কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।এতে করে বিরম্বনার শিকার হয় ঐ এলাকার শতশত গ্ৰাহক। অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখে ঘুরে যায় গ্ৰাহকরা।
আজ বুধবার সকালে সুন্দরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার ঐ অফিসের সমস্ত মালামাল মিনি ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়। পরে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঐ এলাকার বীমা গ্ৰহহীতাদের অবগত করা হলে মুহূর্তের মধ্যে শতশত গ্ৰাহক এসে ঐ ম্যানেজারকে অবরুদ্ধ করে রাখে বামনডাঙ্গা বহুমুখী জনকল্যাণ সংঘ ক্লাব চত্বরে।
গ্ৰাহকরা বলেন ,বীমার মেয়াদ শেষ হয়েছে বছরের পর বছর ঘুরছি অফিসে এখনো টাকা পাচ্ছি না। সব এদের ভাঁওতাবাজি। আজ টাকা ছাড়া ম্যানেজারকে যেতে দিবো না।
ম্যানেজার ছাত্তার মিয়া বলেন, ফারিষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বামনডাঙ্গা শাখায় গ্ৰাহক কম থাকায় আমরা এই শাখা অফিসটি ক্লোজ করে নিয়েছি ।শুধু এটা না আরো কয়েকটি শাখা অফিস ক্লোজ করে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে ঐ সমস্ত শাখা অফিসের গ্ৰাহকরা সুন্দরগঞ্জ অফিসে সেবা নিতে পারবেন।
বিক্ষুব্ধ জনতা/ গ্ৰাহক আপনাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এখন কি করবেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা কোম্পানির একজন কর্মচারী আমাদের করার কি আছে, আমি আমার ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি দেখি কি করা যায়।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।