
এসময় বক্তারা বলেন, হাজারও মানুষের আত্মত্যাগে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এ রক্তস্রোতের অন্যতম প্রধান অংশীদার ভোলা জেলার মানুষ। কারণ, ভোলা হচ্ছে জুলাইয়ের সর্বোচ্চ শহীদের জেলা। সেখানে ধর্ষণ এভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অপরাধীরা নতুন ব্যানারে গিয়ে ধর্ষণ শুরু করেছে। এছাড়া এতদিন নির্যাতনের শিকার হওয়া অনেকেও এখন জালিম হয়ে উঠেছেন। ভোলায় এ ধরনের অপরাধ মেনে নেওয়া হবে না। তজুমদ্দিনের ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের শুধু বহিষ্কার করলেই চলবে না, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশের অন্যতম আয়োজক শামস উদ্দিন বলেন, তজুমদ্দিন বা অন্য উপজেলায় নয়, এই লালমোহনেও একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী নারী ঠিকমতো মামলাও করতে পারেনি। একজন মাত্র আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভোলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদক ব্যবসায়ীরা শেষ করে দিচ্ছে। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনকে বলতে চাই- ধর্ষণ, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আপনারা দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে জনগণকে বলুন। জুলাই ছাত্রজনতা প্রশাসনকে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, স্বাধীনতার সুফল জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও অঙ্গীকারবদ্ধ।
এছাড়াও সমাবেশে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লালমোহন উপজেলার মোহাম্মদ মুসা, ছাত্রশিবির লালমোহন উপজেলা উওর সভাপতি আ: রহমান, নাগরিক ঐক্যের শামীম আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাইয়ের হাফেজ মাওলানা মুফতি শফিক, ছাত্র অধিকার পরিষদ ভোলা জেলার দপ্তর সম্পাদক রাহাদ রুমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।