০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যাংক কর্মকর্তার অডিও ফাঁস ‘এই ইউনূস সব শেষ করি দিলো

‘বিএনপির সময় আমরা খুব ফেরোসাস (হিংস্র) ছিলাম। আমরা যে বিরোধী দলে ছিলাম তখন তারা আমাদের খুব ভয় করে চলতো। যখন ছাত্রলীগ করতাম, তখন জামায়াত –শিবিরি পিটাইছি।  এই ইউনূস আসি সব শেষ করি দিল। ইউনূস ভয়ংকর হিংস্র এবং দেশের প্রতি তার বিন্দু মাত্র মায়াদয়া নেই।’
 কথাগুলো নিজ অফিসে বসে তার সহকর্মীদের সাথে বলছিলেন জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক।  অভিযোগ রয়েছে তিনি হরহামেশাই এমন সরকার বিরোধী অলোচনা করেন। গত শুক্রবার তার এই অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের অনেকেই চাচ্ছেন তার বিচার।
 অডিওটিতে সানোয়ারুল হক সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সমালোচনা করে বলেন, আলী রিয়াজ সংবিধান সংশোধন করে কীভাবে? উনি কী সংবিধান বিশেষজ্ঞ? উনি কী আইনের শিক্ষার্থী?
অডিও রেকডিংটি শুনিয়ে এসব বিষয়ে সানোয়ারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘  এটি আমার কণ্ঠ নয়। আমি এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত নই। আমার চলাফেরা অতি সাধারণ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার আমানত বেড়েছে।’ তিনি আরো বলেন,‘ আমি পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছি। সে সময় আমি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ না আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে কখনই যুক্ত ছিলাম না।’
সূত্র বলছে, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যা্লয় থেকে পড়াশুনা করেন। শিক্ষা জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। চাকরি জীবনে জনতা ব্যাংক এ কর্মরত থেকে রাজনৈতিক নানা প্রভাব খাটিয়ে হয়েছেন জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ইনচার্জ)। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জুনিয়র হয়েও বাগিয়ে নিয়েছেন বড় পদ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল বারেক চৌধুরী বলেন, ‘অডিওর বিষয়ে আজকে সকালে আমি অবগত হয়েছি। আমি ঘটনাটি এখনও পুরোপুরি জানতে পারি নি। আমি ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখায় যোগাযোগ করেছি। ঘটনা আগে আমাকে পুরোপুরি জানতে হবে। তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মোবারকগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা ও আখচাষিদের সাথে বৈঠকে কেরুজ এমডি

ব্যাংক কর্মকর্তার অডিও ফাঁস ‘এই ইউনূস সব শেষ করি দিলো

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
‘বিএনপির সময় আমরা খুব ফেরোসাস (হিংস্র) ছিলাম। আমরা যে বিরোধী দলে ছিলাম তখন তারা আমাদের খুব ভয় করে চলতো। যখন ছাত্রলীগ করতাম, তখন জামায়াত –শিবিরি পিটাইছি।  এই ইউনূস আসি সব শেষ করি দিল। ইউনূস ভয়ংকর হিংস্র এবং দেশের প্রতি তার বিন্দু মাত্র মায়াদয়া নেই।’
 কথাগুলো নিজ অফিসে বসে তার সহকর্মীদের সাথে বলছিলেন জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক।  অভিযোগ রয়েছে তিনি হরহামেশাই এমন সরকার বিরোধী অলোচনা করেন। গত শুক্রবার তার এই অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের অনেকেই চাচ্ছেন তার বিচার।
 অডিওটিতে সানোয়ারুল হক সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সমালোচনা করে বলেন, আলী রিয়াজ সংবিধান সংশোধন করে কীভাবে? উনি কী সংবিধান বিশেষজ্ঞ? উনি কী আইনের শিক্ষার্থী?
অডিও রেকডিংটি শুনিয়ে এসব বিষয়ে সানোয়ারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘  এটি আমার কণ্ঠ নয়। আমি এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত নই। আমার চলাফেরা অতি সাধারণ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার আমানত বেড়েছে।’ তিনি আরো বলেন,‘ আমি পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছি। সে সময় আমি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ না আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে কখনই যুক্ত ছিলাম না।’
সূত্র বলছে, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যা্লয় থেকে পড়াশুনা করেন। শিক্ষা জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। চাকরি জীবনে জনতা ব্যাংক এ কর্মরত থেকে রাজনৈতিক নানা প্রভাব খাটিয়ে হয়েছেন জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ইনচার্জ)। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জুনিয়র হয়েও বাগিয়ে নিয়েছেন বড় পদ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল বারেক চৌধুরী বলেন, ‘অডিওর বিষয়ে আজকে সকালে আমি অবগত হয়েছি। আমি ঘটনাটি এখনও পুরোপুরি জানতে পারি নি। আমি ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখায় যোগাযোগ করেছি। ঘটনা আগে আমাকে পুরোপুরি জানতে হবে। তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’