
যশোরের চৌগাছায় রিক্তা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে সৎ ছেলে দিনদুপুরে কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মশ্মমপুর ( ঢেঁকিপোতা) গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রিক্তা বেগম মশ্মমপুর ( ঢেঁকিপোতা) গ্রামের রোকনুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ ঘটনার পরেই নিহতের স্বামী সতীন ও সৎ ছেলে পলাতক রয়েছে। পুলিশের দাবি পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হ’ত্যাকা’ণ্ড ঘটানো হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ৬ মাস আগে কৃষক রোকনুজ্জামানের সাথে প’রকী’য়া প্রেমের সূত্র ধরে প্রবাসীর স্ত্রী রিক্তা বেগমের বিয়ে হয়। দু’ সতিনের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকলেও প্রথম পক্ষের ছেলে বরকত বাবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে পারিবারিক কলহ ছিল তাদের মধ্যে। বুধবার সকালে রোকনুজ্জামান কৃষি কাজ করতে মাঠে ও তার প্রথম স্ত্রী মাংস কিনতে চৌগাছা বাজারে যায়। এ সুযোগে সৎ ছেলে বরকত তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী রিক্তা বেগমকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করে। র’ক্তমা’খা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীরা তাকে দেখে ফেলে। এরপর তারা এগিয়ে গিয়ে রিক্তাকে তার ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে রোকন আলী, তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলে বরকত পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের আটকের জন্য কাজ শুরু করেছে।