
এক সময় রাজু আহমেদ তাত শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হঠাৎ তার মাথায় আসে বাড়ির আঙিনায় ফুল চাষ করার কথা। নিজেই বাড়ির পাশে স্বল্প পরিসরে গাদা, গেলাপও রজনীগন্ধা ফুলের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে নিজের জমিতে উৎপাদিত ফুল রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন রাজু আহমেদ । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন উদ্যেক্তা মো.রাজু আহমেদ। শুরুতেই স্বল্প পরিসরে ফুল চাষ করে সফলতা অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে ৬বিঘা জমিতে প্রায় ৮ প্রজাতির ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা মো. রাজু আহমেদ । এগুলোর মধ্যে, বাসন্তী গাদা, রক্তগাদা, গোলাপ (লাল-সাদা), রজনীগন্ধা, গ্লাডিয়াস, জারবেরা ফুল উল্লেখযোগ্য। তার বাগানে প্রতিদিন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। নানা জাতের ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মন জুড়ায় তাদের। সেই সঙ্গে চলে ফুলের সঙ্গে সেলফি তোলা।
ফুল চাষি রাজু আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে স্বল্প পরিসরে ২ থেকে ৩ রকম ফুলের চাষ শুরু করেছিলাম। তবে অন্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম লাভ অনেক বেশি। রাজু আহমেদ এর কাছ থেকে ফুল নিতে চাইলে কি ভাবে নিতে পারবে বললে তিনি বলেন, আমার এই 01752-460173 নাম্বারে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের যে কোন যায়গায় পাঠানো সম্ভব বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমার এখানে প্রতিদিন তিন চার জন লোক কাজ করে এতে আমার পরিবার সহ তিন চারটি পরিবারে এই ফুল বিক্রির টাকায় চলে। এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল হক জানান, সঠিক পরিচর্যা করলে বছরে বিঘাপ্রতি ফুল চাষ করে দুই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। একডালাতে বেশ কয়েকটি প্রথম ফুলের নার্সারি শুরু করেছেন তার মধ্যে রাজু আহমেদ । আমরা বিভিন্ন সময় তার নার্সারিতে গিয়ে দেখে আসি এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।তার নার্সারিতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।