০২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুবিপ্রবি নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবিতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি) নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবিতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজার চত্বরে ‘সুবিপ্রবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী হাম্মাদ আজাদ রাহিম ও ওবায়দুল হক মোনেমের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন।

বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা জামায়াতের আমির হাফিজ আবু খালেদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন খান সাগর, সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, এবং শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল কবির।

বক্তারা বলেন, “সুনামগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। ২০২০ সালে যাচাই-বাছাইয়ের পর, জেলা বাসীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে সুনামগঞ্জে সুবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২২ সালে উপাচার্য নিয়োগের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে অস্থায়ী ভবনে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তরের দাবি তুলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তারা আরও বলেন, “যে স্থানটিকে জেলা বাসী দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হিসেবে দেখছে, সেখানে সুবিপ্রবি স্থাপন না করে, ভারতীয় সীমান্তের কাছে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সুবিপ্রবি সুনামগঞ্জবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প। কেউ যেন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি না করে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করতে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়।”

মানববন্ধন শেষে, সুবিপ্রবি উপাচার্যের মাধ্যমে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর না করে, নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করার দাবি জানানো হয়।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

সুবিপ্রবি নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবিতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

পোস্ট হয়েছেঃ ০২:১৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি) নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবিতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজার চত্বরে ‘সুবিপ্রবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী হাম্মাদ আজাদ রাহিম ও ওবায়দুল হক মোনেমের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন।

বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা জামায়াতের আমির হাফিজ আবু খালেদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন খান সাগর, সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, এবং শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল কবির।

বক্তারা বলেন, “সুনামগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। ২০২০ সালে যাচাই-বাছাইয়ের পর, জেলা বাসীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে সুনামগঞ্জে সুবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২২ সালে উপাচার্য নিয়োগের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে অস্থায়ী ভবনে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তরের দাবি তুলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তারা আরও বলেন, “যে স্থানটিকে জেলা বাসী দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হিসেবে দেখছে, সেখানে সুবিপ্রবি স্থাপন না করে, ভারতীয় সীমান্তের কাছে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সুবিপ্রবি সুনামগঞ্জবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প। কেউ যেন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি না করে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করতে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়।”

মানববন্ধন শেষে, সুবিপ্রবি উপাচার্যের মাধ্যমে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর না করে, নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করার দাবি জানানো হয়।