০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনার ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার এবং সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ০৩ সদস্য গ্রেফতার

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন জনৈক মো: রাজু আহমেদ(২৯) পিতা: মো: নজরুল ইসলাম,সাং: মধ্য অরণকোলা,নবাব আলীবর্দি রোড, ডাকঘর:ঈশ্বরদী,থানা,ঈশ্বরদী,জেলা: পাবনা,  গত ২২/০১/২০২৫ তারিখ অনুমান  সন্ধ্যা ৭.৪৫ ঘটিকার সময় তাহার ব্যবহৃত হোন্ডা কোম্পানির CB HORNET 150 CC লাল/কালো মোটরসাইকেলটি ঈশ্বরদী থানাধীন কোবা মসজিদের পূর্ব পাশে তালা বদ্ধ অবস্থায় রাখিয়া মসজিদে নামাজ পড়তে যায়।  অনুমান সন্ধ্যা ৭.৫৫ ঘটিকায় নামাজ শেষ করে বাহির হইয়া দেখতে পায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উক্ত স্থানে নাই। মোটরসাইকেলটি অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা  অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া নিয়া যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয়। যাহার মামলা নং-৩১, তারিখ-১৩/০৪/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড। পাবনা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পাবনা এবং ঈশ্বরদী সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) পাবনা মহোদয়দের তত্ত্বাবধায়নে, মোঃ শহিদুল ইসলাম  অফিসার ইনচার্জ ঈশ্বরদী থানার নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুরিয়া  সোনালী ব্যাংকের  সামনে হতে আন্ত জেলা  মোটরসাইকেল চোর  ইমন আলী (১৫), পিতা- মোঃ হাতেম আলী, সাং- অনন্ত (দক্ষিন রামচন্দ্রপুর) থানা-পাবনা সদর, জেলা- পাবনাকে আটক করে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদকালে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতভর ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা  করে ঈশ্বরদী থানাধীন, মুলাডুলি ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামস্থ, সারপুকুর বাউরি নামক স্থানে, পরিত্যক্ত ঝোপ এর ভিতর হইতে  উক্ত চোরাই হোন্ডা হরনেট লাল/কালো রঙের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।  এবং একটি লাল রঙের এপাছি আর,টি,আর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যাহা বিক্রয়এর জন্য রাখা ছিল এবং ধৃত চোর কে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া রাতভর অভিজানের অংশ হিসাবে ভাংগুরা থানাধীন বেতবাড়িয়া  গ্রাম হতে আসামী সামীম (২৮), পিতা মোঃ চাঁদ আলী, কে গ্রেফতার করা হয়।  এবং ধৃত আসামী সামীম কে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহার হেফাজত হইতে ঈশ্বরদী  থানাধীন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলতলা সিএন্ডবি গোডাউনের ভিতর পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে হইতে একটি নীল রঙের এপাছি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যাহা বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছিল। ধৃত চোরদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তাদের শনাক্তমতে তাদের সহযোগী  মো জাহিদুল ইসলাম (৪১)পিতা: জাবেদ আলী সাং : আজমপুর, থানা: ঈশ্বরদী,জেলা : পাবনা কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ মটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। মটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যানা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চুরি সহ একাধিক মামলা আছে।উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেল এর বর্ণনা১। একটি লাল/কালো রঙের CB HORNET 150 CC মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং KC2E-7-6019976চেসিস নং PS0KC2390JH119819,
(২) লাল রঙের  ০১ টি  এ্যাপাছি আরটিআর মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং *C1J7275441* লেখা আছে চেসিস নং অস্পষ্ট।
(৩) নীল রঙের  ০১ টি  এ্যাপাছি আরটিআর মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং *C1K6230691 * লেখা আছে চেসিস নং MD624H  একটি সংখ্যা অস্পষ্ট 16G2K38099
উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কর্তৃক বিগত এক মাসে সর্বমোট ১২ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং সংঘবদ্ধ আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্য আটক হয়। এবং ইতিপূর্বে তাদের নামে মামলা হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

পাবনার ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার এবং সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ০৩ সদস্য গ্রেফতার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন জনৈক মো: রাজু আহমেদ(২৯) পিতা: মো: নজরুল ইসলাম,সাং: মধ্য অরণকোলা,নবাব আলীবর্দি রোড, ডাকঘর:ঈশ্বরদী,থানা,ঈশ্বরদী,জেলা: পাবনা,  গত ২২/০১/২০২৫ তারিখ অনুমান  সন্ধ্যা ৭.৪৫ ঘটিকার সময় তাহার ব্যবহৃত হোন্ডা কোম্পানির CB HORNET 150 CC লাল/কালো মোটরসাইকেলটি ঈশ্বরদী থানাধীন কোবা মসজিদের পূর্ব পাশে তালা বদ্ধ অবস্থায় রাখিয়া মসজিদে নামাজ পড়তে যায়।  অনুমান সন্ধ্যা ৭.৫৫ ঘটিকায় নামাজ শেষ করে বাহির হইয়া দেখতে পায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উক্ত স্থানে নাই। মোটরসাইকেলটি অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা  অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া নিয়া যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয়। যাহার মামলা নং-৩১, তারিখ-১৩/০৪/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড। পাবনা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পাবনা এবং ঈশ্বরদী সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) পাবনা মহোদয়দের তত্ত্বাবধায়নে, মোঃ শহিদুল ইসলাম  অফিসার ইনচার্জ ঈশ্বরদী থানার নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুরিয়া  সোনালী ব্যাংকের  সামনে হতে আন্ত জেলা  মোটরসাইকেল চোর  ইমন আলী (১৫), পিতা- মোঃ হাতেম আলী, সাং- অনন্ত (দক্ষিন রামচন্দ্রপুর) থানা-পাবনা সদর, জেলা- পাবনাকে আটক করে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদকালে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতভর ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা  করে ঈশ্বরদী থানাধীন, মুলাডুলি ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামস্থ, সারপুকুর বাউরি নামক স্থানে, পরিত্যক্ত ঝোপ এর ভিতর হইতে  উক্ত চোরাই হোন্ডা হরনেট লাল/কালো রঙের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।  এবং একটি লাল রঙের এপাছি আর,টি,আর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যাহা বিক্রয়এর জন্য রাখা ছিল এবং ধৃত চোর কে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া রাতভর অভিজানের অংশ হিসাবে ভাংগুরা থানাধীন বেতবাড়িয়া  গ্রাম হতে আসামী সামীম (২৮), পিতা মোঃ চাঁদ আলী, কে গ্রেফতার করা হয়।  এবং ধৃত আসামী সামীম কে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহার হেফাজত হইতে ঈশ্বরদী  থানাধীন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলতলা সিএন্ডবি গোডাউনের ভিতর পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে হইতে একটি নীল রঙের এপাছি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যাহা বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছিল। ধৃত চোরদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তাদের শনাক্তমতে তাদের সহযোগী  মো জাহিদুল ইসলাম (৪১)পিতা: জাবেদ আলী সাং : আজমপুর, থানা: ঈশ্বরদী,জেলা : পাবনা কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ মটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। মটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যানা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চুরি সহ একাধিক মামলা আছে।উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেল এর বর্ণনা১। একটি লাল/কালো রঙের CB HORNET 150 CC মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং KC2E-7-6019976চেসিস নং PS0KC2390JH119819,
(২) লাল রঙের  ০১ টি  এ্যাপাছি আরটিআর মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং *C1J7275441* লেখা আছে চেসিস নং অস্পষ্ট।
(৩) নীল রঙের  ০১ টি  এ্যাপাছি আরটিআর মোটর সাইকেল যাহার ইঞ্জিন নং *C1K6230691 * লেখা আছে চেসিস নং MD624H  একটি সংখ্যা অস্পষ্ট 16G2K38099
উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কর্তৃক বিগত এক মাসে সর্বমোট ১২ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং সংঘবদ্ধ আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্য আটক হয়। এবং ইতিপূর্বে তাদের নামে মামলা হয়।