০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির এক মাধুর্য ঘেরা ইতিহাসের নাম

  • ফয়সাল হোসেন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৩৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 79

পহেলা বৈশাখ যেন বাঙালির এক মাধুর্য ঘেরা ইতিহাসের নাম। বৈশাখ মাস এলেই বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরেই ভেসে ওঠে আনন্দের ছায়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, গান-বাজনা, আনন্দ মেলা ও নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বরণ করে নেয় বাংলা নতুন বছরকে। পহেলা বৈশাখে, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ সবাই সাজে এক নতুন সাজে, সকলের চোখে মুখে যেন ভেসে থাকে আনন্দের ছাপ। পহেলা বৈশাখ প্রতিটি বাঙালির কাছে এক অনন্য অনুভূতির নাম। পুরাতনকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আর আনন্দ মুখর দিনিটিই হলো পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ , বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক ও ধারক। এটি কোটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলাদেশের জাতি-গোত্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আনন্দের সহিত পালন করে এই পহেলা বৈশাখ। ১৫২৬ সালের পানিপথের প্রথম যুদ্ধ। সম্রাট আকবরের হাত ধরে ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলিত হতো না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধে বাধ্য করা হতো। খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। পহেলা বৈশাখের রীতিনীতি, উৎসব আবহমান বাংলার এক অনন্য সংযোজন। শহর থেকে গ্রামে, দেশ থেকে বিদেশে সব বাঙালিই মেতে ওঠে আনন্দ উল্লাসে। তরুণদের গায়ে লাল-সাদা পাঞ্জাবী, তরুণীরা পড়ে শাড়ি, খোঁপায় থাকে ফুল, হাতভর্তি কাচের চুড়ি। ছোট ছোট শিশুরা নতুন নতুন রঙিন জামা পড়ে বায়না ধরে মেলায় যাওয়ার। মেলায় থাকে নানান আনন্দমুখর পরিবেশ। থাকে হরেক রকম ভর্তা, ইলিশ মাছ ভাজা আর পান্তা-ইলিশ ও বিভিন্ন খাবারর আয়োজন। পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি শুধু বাংলাদেশই নয় পৃথিবীর অনেক দেশেই এর ব্যাপক আয়োজন রয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির এক মাধুর্য ঘেরা ইতিহাসের নাম

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৩৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখ যেন বাঙালির এক মাধুর্য ঘেরা ইতিহাসের নাম। বৈশাখ মাস এলেই বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরেই ভেসে ওঠে আনন্দের ছায়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, গান-বাজনা, আনন্দ মেলা ও নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বরণ করে নেয় বাংলা নতুন বছরকে। পহেলা বৈশাখে, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ সবাই সাজে এক নতুন সাজে, সকলের চোখে মুখে যেন ভেসে থাকে আনন্দের ছাপ। পহেলা বৈশাখ প্রতিটি বাঙালির কাছে এক অনন্য অনুভূতির নাম। পুরাতনকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আর আনন্দ মুখর দিনিটিই হলো পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ , বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক ও ধারক। এটি কোটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলাদেশের জাতি-গোত্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আনন্দের সহিত পালন করে এই পহেলা বৈশাখ। ১৫২৬ সালের পানিপথের প্রথম যুদ্ধ। সম্রাট আকবরের হাত ধরে ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলিত হতো না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধে বাধ্য করা হতো। খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। পহেলা বৈশাখের রীতিনীতি, উৎসব আবহমান বাংলার এক অনন্য সংযোজন। শহর থেকে গ্রামে, দেশ থেকে বিদেশে সব বাঙালিই মেতে ওঠে আনন্দ উল্লাসে। তরুণদের গায়ে লাল-সাদা পাঞ্জাবী, তরুণীরা পড়ে শাড়ি, খোঁপায় থাকে ফুল, হাতভর্তি কাচের চুড়ি। ছোট ছোট শিশুরা নতুন নতুন রঙিন জামা পড়ে বায়না ধরে মেলায় যাওয়ার। মেলায় থাকে নানান আনন্দমুখর পরিবেশ। থাকে হরেক রকম ভর্তা, ইলিশ মাছ ভাজা আর পান্তা-ইলিশ ও বিভিন্ন খাবারর আয়োজন। পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি শুধু বাংলাদেশই নয় পৃথিবীর অনেক দেশেই এর ব্যাপক আয়োজন রয়েছে।