
পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের নামে রেড নোটিশ জারির আবেদন জানিয়ে ইন্টারপোলে চিঠি দিয়েছে।জানা গেছে,দেশের বাইরে অবস্থানরত এসব ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিন দফায় এ আবেদন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রেড নোটিশ জারির আবেদনের তালিকায় নাম রয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আ ক ম মোজাম্মেল হক,জাহাঙ্গীর কবির নানক,নসরুল হামিদ,মোহাম্মদ আলী আরাফাত,মহিবুল হাসান চৌধুরী,সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস,সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর জানান,এই আবেদন করা হয়েছে আদালত,প্রসিকিউশন ও তদন্তকারী সংস্থার আহ্বানে। পুলিশের এই মুখপাত্র জানান,রেড নোটিশ জারির বিষয়টি এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য ১০ জনের বিষয়ে গত ১০ এপ্রিল এনসিবি আবেদন জমা দেয় ইন্টারপোলের কাছে।এর আগে,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ও সুপারিশ পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শেখ হাসিনার বিষয়ে ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ করা হয়।অন্যদিকে,বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়।এর আগে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য নির্দেশনা দেন ঢাকার একটি আদালত।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে,সেই চুক্তির আওতায় ফেরত আনার উদ্যোগও নিয়েছে।তবে এই প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘসূত্রতা সাপেক্ষ এমনটাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন।ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।