১১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে একই সময় বিএনপি’র দুই গ্রুপের বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার কারণে ১৪৪ ধারা জারি

  • Ripon
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • 36
শরীয়তপুর জেলার, নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একইস্থানে বিএনপির দুই পক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার কারণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন। ২০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত নড়িয়া পৌর শহরে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে তিনি বলেন, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নড়িয়া পৌর শহরে কোন প্রকার মিছিল, মিটিং, মাইকিং, মানববন্ধন কিংবা জনসমাবেশ করা যাবে না।
পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় ১৪৪ ধারা জারির পর থেকেই নড়িয়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি পদ্মা নদীর মাঝে থাকা বালুর স্তুপ থেকে দশ কোটি ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে বালু ক্রয় করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রয়েল মাঝি। তবে নিলামের শর্ত ভঙ্গ করে কেউ কেউ স্তূপের পরিবর্তে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে এমন অভিযোগ করে স্থানীয় মানুষ ও বিএনপির অপর একটি পক্ষ। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য, নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। দুই পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় নড়িয়া পৌর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
নিলামে বালু ক্রয় করা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রয়েল মাঝি বলেন, নিলামের শর্ত ও নিয়ম মেনে নদীর মাঝে থাকা চর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী একটি মহল প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে আমার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়ায় এবং প্রশাসনের নিয়ম মেনে বালু কাটার পরেও তারা কিভাবে অবৈধ বলছে? আমার বুঝে আসছে না যদি শর্ত ভঙ্গ করা হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপির অপর একটি পক্ষের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু বলেন, নদীর মাঝে থাকা বালুর স্তুপ নিলামে ক্রয় করা হলেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত ড্রেজার নিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু কাটছে একাধিক সংঙ্ঘবদ্ধ চক্র। যা নদী ও নদীর পাড়ের মানুষের জন্য কঠিন হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এভাবে বালু কাটা হলে নদীয়ার মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত ডান তীর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাধারণ জনগণকে নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিপক্ষে আন্দোলন করছি। যেই বালু তারা বৈধ প্রক্রিয়ায় ক্রয় করেছে তা কেটে নিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যদি নদীর তলদেশ থেকে এক ইঞ্চি বালু কাটে তাহলে বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ বালু কাটার বিরুদ্ধে এবং নদী থেকে যতদিন পর্যন্ত সব ড্রেজার অপসারণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো বিএনপি’র দুটি পক্ষ শান্ত আছে তারা কোন প্রকার মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করেনি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

শরীয়তপুরে একই সময় বিএনপি’র দুই গ্রুপের বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার কারণে ১৪৪ ধারা জারি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
শরীয়তপুর জেলার, নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একইস্থানে বিএনপির দুই পক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার কারণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন। ২০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত নড়িয়া পৌর শহরে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে তিনি বলেন, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নড়িয়া পৌর শহরে কোন প্রকার মিছিল, মিটিং, মাইকিং, মানববন্ধন কিংবা জনসমাবেশ করা যাবে না।
পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় ১৪৪ ধারা জারির পর থেকেই নড়িয়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি পদ্মা নদীর মাঝে থাকা বালুর স্তুপ থেকে দশ কোটি ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে বালু ক্রয় করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রয়েল মাঝি। তবে নিলামের শর্ত ভঙ্গ করে কেউ কেউ স্তূপের পরিবর্তে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে এমন অভিযোগ করে স্থানীয় মানুষ ও বিএনপির অপর একটি পক্ষ। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য, নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। দুই পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় নড়িয়া পৌর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
নিলামে বালু ক্রয় করা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রয়েল মাঝি বলেন, নিলামের শর্ত ও নিয়ম মেনে নদীর মাঝে থাকা চর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী একটি মহল প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে আমার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়ায় এবং প্রশাসনের নিয়ম মেনে বালু কাটার পরেও তারা কিভাবে অবৈধ বলছে? আমার বুঝে আসছে না যদি শর্ত ভঙ্গ করা হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপির অপর একটি পক্ষের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু বলেন, নদীর মাঝে থাকা বালুর স্তুপ নিলামে ক্রয় করা হলেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত ড্রেজার নিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু কাটছে একাধিক সংঙ্ঘবদ্ধ চক্র। যা নদী ও নদীর পাড়ের মানুষের জন্য কঠিন হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এভাবে বালু কাটা হলে নদীয়ার মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত ডান তীর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাধারণ জনগণকে নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিপক্ষে আন্দোলন করছি। যেই বালু তারা বৈধ প্রক্রিয়ায় ক্রয় করেছে তা কেটে নিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যদি নদীর তলদেশ থেকে এক ইঞ্চি বালু কাটে তাহলে বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ বালু কাটার বিরুদ্ধে এবং নদী থেকে যতদিন পর্যন্ত সব ড্রেজার অপসারণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো বিএনপি’র দুটি পক্ষ শান্ত আছে তারা কোন প্রকার মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করেনি।