০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছরে এক ইঞ্চি বাঁধও নির্মাণ হয়নি, তীব্র ভাঙনের আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে তিন বছরেও এক ইঞ্চি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ-এসআই প্রা. লি. এন্ড টিআই জেভি। বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় তীব্র নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দুধকুমার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীন দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১ মে। প্রকল্পটির নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ১৪ মাস, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ২৯ জুন। কিন্তু সময় পেরিয়ে তিন বছর হতে চললেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ও কিছু সিসি ব্লক তৈরি করে কাজ শুরু করলেও গত বছরের মার্চের পর থেকেই প্রকল্প এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এর মধ্যে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

হাবিবুল রহমান বলেন, “বাঁধ না হলে আবার নদী ভাঙবে, আমরা যাব কোথায়?”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি বর্তমানে এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়।”

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছরে এক ইঞ্চি বাঁধও নির্মাণ হয়নি, তীব্র ভাঙনের আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:১৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে তিন বছরেও এক ইঞ্চি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ-এসআই প্রা. লি. এন্ড টিআই জেভি। বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় তীব্র নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দুধকুমার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীন দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১ মে। প্রকল্পটির নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ১৪ মাস, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ২৯ জুন। কিন্তু সময় পেরিয়ে তিন বছর হতে চললেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ও কিছু সিসি ব্লক তৈরি করে কাজ শুরু করলেও গত বছরের মার্চের পর থেকেই প্রকল্প এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এর মধ্যে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

হাবিবুল রহমান বলেন, “বাঁধ না হলে আবার নদী ভাঙবে, আমরা যাব কোথায়?”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি বর্তমানে এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়।”