
পটুয়াখালীর বাউফলে মো. আলী আযম চৌধুরী নামে এক বিএনপি নেতাকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না করায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
দাশপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজির আহমেদ বলেন, “দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আযম চৌধুরী আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের রুমে বসেন, কথার এক ফাঁকে তিনি আমাকে প্রধান শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে যান। এরপর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে তাকে কেনো সভাপতি বানানো হয়নি সেই বিষয়টি জানতে চান। তখন আমি তাকে জানাই যে, তাঁর অর্জিত শিক্ষা সনদ নিয়ে জেলা প্রশাসক আপত্তি জানিয়েছেন, এতে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ডায়েরি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন, পরে আবারও তিনি মারতে উদ্যত হলে আমি তা হাত দিয়ে আটকাই। এসময় তিনি আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরে বিষয়টি আমি আমার সহকর্মী এবং বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জানাই।”
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাছুম বিল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আযম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম ওই শিক্ষকের সাথে কথা হয়েছে, তিনিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে একত্রে চা বিস্কুট খেয়েছি এগুলো সত্য কিন্তু উনি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ২০১০ সালে আমি দারুল ইহসানের মালিবাগ ক্যাম্পাস থেকে গ্রাজুয়েশন করি। এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়নি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএস পরীক্ষাতেও অংশগ্রহন করা সম্ভব। আমি তাকে সেই বিষয়টি বলেছি এর বেশি কিছু নয়। আর উনি প্রধান শিক্ষকের যে কক্ষের কথা বলেছেন সেটি শিক্ষকদের কক্ষ থেকে পৃথক কোনো কক্ষ নয়, আলমিরা দিয়ে একটি কক্ষের মধ্যে পার্টিশনের মতো করে দেয়া, এমন ঘটনা ঘটলে বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষকরাও শুনতো বা জানতো, আপনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, তারাও ওই কক্ষেই ছিলো, ঘটনার কোনো সত্যতা রয়েছে কি না?
এরপর ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে এমন কোনো ঘটনা দেখিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের
কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই, দেখছি।