
দেশের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করায় ফরিদপুরের সালথায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহান রবের উদ্দেশ্যে শুকরিয়ানা নামাজ এবং শুকরিয়ানা মিছিল করেছে উপজেলার সমমনা ইসলামি দল।
উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে রবিবার (১১ মে) বাদ আছর উপজেলা মসজিদে মহান রবের উদ্দেশ্যে শুকরিয়ানা নামাজ আদায় করা হয়। এরপর শুকরিয়ানা মিছিল উপজেলা চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদরের বাইপাস সড়কে এসে শেষ হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এদেশ আওয়ামী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। আপনারা জানেন আওয়ামীলীগ মানে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, আয়না ঘর, জুলুম। আওয়ামীলীগ মানে, বড় বড় প্রকল্প দেখিয়ে এদেশের ৯৬ হাজার কটি ডলার বিদেশে পাচার করা, আওয়ামীলীগ মানে সাংবাদিকদের কলমের ভাষা কেড়ে নেওয়া, এদেশের অবহেলিত মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া। আওয়ামীলীগ মানে এদেশের মানুষের ভোটঅধিকার কেড়ে নেয়া।
আওয়ামীলীগ মানে ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন। আওয়ামীলীগ মানে ২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচন। আওয়ামীলীগ মানে ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন। আওয়ামীলীগ শপথ করেছিলো তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। বাংলাদেশর আপামোর ছাত্রজনতা তাদের বুকের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ২য়বার স্বাধীন করেছে। আমরা ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সাথে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তারা এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।
সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবুল ফজল মুরাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সালথা সদর ইউনিটের সভাপতি মওলানা আবু সায়েম মোল্যা, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী মাহবুব আলী (নছরু মিয়া), রামকান্তপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মোঃ মুকুল হোসাইন, ভাওয়াল ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লা, গট্টি ইউনিয়নের সভাপতি মোফাজ্জল মোল্লা, সোনাপুর ইউনিয়নের সভাপতি আলীমুজ্জামান শরীফ, মাঝারদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মিকাইল হোসাইন, যদুনন্দী ইউনিয়ন সভাপতি কবির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও জামায়াত ইসলামের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ তারিকুল ইসলাম।