
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি বাইতুশ শরফ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হলো ২০২৫ সালের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ (১২ মে) সকাল ১০টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল মূল আকর্ষণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শিরীন আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জনাব দেবপ্রসাদ দেওয়ান, জনাব মোঃ মিনহাজ মুর্শিদ, বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন বাবু, বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব মোঃ ওমর আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ জাবেদুল আলম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ রহমত উল্লাহ খাজা এবং জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর মাওলানা কবির আহমদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জনাব জয়াস চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঘাইছড়ি বাইতুশ শরফ কমপ্লেক্সের সম্মানিত পরিচালক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ ফোরকান আহমদ।
বক্তারা তাঁদের ভাষণে বলেন, “বাঘাইছড়ি বাইতুশ শরফ কমপ্লেক্সটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজ পর্যন্ত এই অঞ্চলে শিক্ষার দ্যুতি ছড়িয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সরকারি পাঠ্যক্রমও অনুসরণ করে এবং বর্তমানে এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করছে। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতেও শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখবে এবং এমন মানুষ তৈরি করবে যারা দেশের কল্যাণে আত্মনিবেদিত থাকবে।”
এছাড়াও বক্তারা প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শিক্ষাব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষারও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করছে। ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটি আলীম পর্যন্ত উন্নীত করা হবে।” আমন্ত্রিত অতিথিরা মাদ্রাসার একাধিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে স্থানীয় জনগণ, অভিভাবক ও বিভিন্ন বিশিষ্টজন, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, ফলে অনুষ্ঠানটি এক উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
অতিথিরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”