
১২মে (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪০জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত পুরাতন জাহাজ ভাঙা কারখানা মজিদ স্টিল/লিয়াজ স্টিল থেকে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ জন নারী, ১৩ জন পুরুষ ও ১৬ জন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ৩জন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরে যেতে তারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছেন।
জানা গেছে, একটি নৌকায় করে প্রায় ৪০ জনের একটি গ্রুপ গত দুই দিন আগে নোয়াখালীর ভাসানচর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফ যাওয়ার পথে ভাটিয়ারী এলাকার সাগর উপকূলে এলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন। এলাকাবাসী জানান, ৪টি ইঞ্জিন চালিত নৌযান থেকে সাগর উপকূলে রোহিঙ্গাদের নামতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা ওই রোহিঙ্গাদের আটক করে উপকূলে বসিয়ে রাখার পাশাপাশি থানায় খবর দেন।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আনোয়ার বলেন, রোহিঙ্গাদের আটক করে স্থানীয়রা আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারকে খবর দিয়ে আটককৃতদের তাকে বুঝিয়ে দিই।এদিকে রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে জানালে তিনি বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। এরপর স্থানীয়রা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানালে তারা বিষয়টি তাদের নয় বলে জানান।এরপর কুমিরা নৌ-পুলিশকে অবগত করলে ইনচার্জ ওয়ালি উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়।রফিক, রিদোয়ানসহ একাধিক রোহিঙ্গা জানান, সরকার ভাসানচরে তাদের বসতি স্থাপন করে দিলেও সেখানে তারা ভালো নেই, খাবারের অভাবে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন। তাদের আগে ১৫ ডলার করে দেওয়া হতো। বর্তমানে ১২ ডলার করে দিচ্ছে। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে জনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসেন। বিকাল ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ওসি এবং কুমিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ঘটনাস্থলে আসেন।সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের থানায় নেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পুনরায় ভাসানচরে ফেরত পাঠানো হবে।