০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় যুবকের অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্য, লাশ দেশে পাঠাতে বাসার মালিকের তাড়াহুড়া

  • রফিক ঢালী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • 11
 ১২মে , রোজ সোমবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গিলা বাজার এর উত্তর পাশে ক্যাপ্টেন সিএনজি পাম সংলগ্ন মোস্তফা হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা, দিনাজপুর জেলার, নবাবগঞ্জ থানার, তিখুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ্গিলা বাজার এর উত্তর পাশে মোস্তফা হোসেনের চারতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় ছোট স্ত্রী কেয়া আক্তারকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
নিহত সোহেলের ছোট স্ত্রী কেয়া আক্তার জানান, গতকাল রাত ২টার পর থেকে হঠাৎ আমার স্বামী দুই তিনবার পাতলা পায়খানা করেন, সকাল বেলা আমি পাশের ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়াই, পরে আমি সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম, দুপুর ১টার দিকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে বাসার মালিককে ডেকে আনলে, বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন আমাকে বলেন আমার স্বামী মারা গেছে।
এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে, উক্ত ওয়ার্ড বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন মেম্বার আজকের খবর পত্রিকাকে জানান, আমি খবর পেয়ে মোস্তফা হোসেনের বাসায় গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ দেখি। তাতে দেখতে পাই মৃত ব্যক্তির দুই কানে রক্ত ও শরীরের কিছু অংশে বিভিন্ন রকম দাগ, আর এতে আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি শ্রীপুর থানার ফোন করলে, এসআই মাজহারুল ইসলাম এসে প্রাথমিক তদন্ত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নিয়ে যায়।
আশপাশের ভাড়াটিয়া ও এলাকার লোকজন জানান, চারতলা বাসার মালিক মোস্তফা হোসেনের বাসায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই। নিহত সোহেল রানা স্ত্রী, কেয়া আক্তারের ফুফাতো ভাই তোফাজ্জল ও বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন মিলে এক সাংবাদিককে অপমান করে, তাকে ছবি তুলতে বাধা দেয় এবং তার সাংবাদিকের আইর্ডি কার্ড নিয়েও খেল ঠাট্টা করে। একপর্যায়ে বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন এবং আরো দু তিনজন ক্ষমতার পাওয়ার দেখিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ দুইতলা বাসা থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফেলে, পরে উপস্থিত লোকজন তাদের বাধা দেয়। এবং পুলিশ আসা না পর্যন্ত গাড়িটি আটকে রাখে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

শত কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার্থে ভিপি সাজ্জাদ বিএনপির পদ প্রত্যাশী

শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় যুবকের অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্য, লাশ দেশে পাঠাতে বাসার মালিকের তাড়াহুড়া

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
 ১২মে , রোজ সোমবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গিলা বাজার এর উত্তর পাশে ক্যাপ্টেন সিএনজি পাম সংলগ্ন মোস্তফা হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা, দিনাজপুর জেলার, নবাবগঞ্জ থানার, তিখুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ্গিলা বাজার এর উত্তর পাশে মোস্তফা হোসেনের চারতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় ছোট স্ত্রী কেয়া আক্তারকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
নিহত সোহেলের ছোট স্ত্রী কেয়া আক্তার জানান, গতকাল রাত ২টার পর থেকে হঠাৎ আমার স্বামী দুই তিনবার পাতলা পায়খানা করেন, সকাল বেলা আমি পাশের ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়াই, পরে আমি সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম, দুপুর ১টার দিকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে বাসার মালিককে ডেকে আনলে, বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন আমাকে বলেন আমার স্বামী মারা গেছে।
এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে, উক্ত ওয়ার্ড বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন মেম্বার আজকের খবর পত্রিকাকে জানান, আমি খবর পেয়ে মোস্তফা হোসেনের বাসায় গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ দেখি। তাতে দেখতে পাই মৃত ব্যক্তির দুই কানে রক্ত ও শরীরের কিছু অংশে বিভিন্ন রকম দাগ, আর এতে আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি শ্রীপুর থানার ফোন করলে, এসআই মাজহারুল ইসলাম এসে প্রাথমিক তদন্ত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নিয়ে যায়।
আশপাশের ভাড়াটিয়া ও এলাকার লোকজন জানান, চারতলা বাসার মালিক মোস্তফা হোসেনের বাসায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই। নিহত সোহেল রানা স্ত্রী, কেয়া আক্তারের ফুফাতো ভাই তোফাজ্জল ও বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন মিলে এক সাংবাদিককে অপমান করে, তাকে ছবি তুলতে বাধা দেয় এবং তার সাংবাদিকের আইর্ডি কার্ড নিয়েও খেল ঠাট্টা করে। একপর্যায়ে বাসার মালিক মোস্তফা হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন এবং আরো দু তিনজন ক্ষমতার পাওয়ার দেখিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ দুইতলা বাসা থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফেলে, পরে উপস্থিত লোকজন তাদের বাধা দেয়। এবং পুলিশ আসা না পর্যন্ত গাড়িটি আটকে রাখে।