
নিজের রুমে বসে বৈদ্যুতিক মর্টার ও ফ্যান দিয়ে অটোমেটিক ডাস্টবিন বানানোর চেস্টা করেছিলো ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাকিম মাহি। আর এতেই বিদ্যুতায়িত হয়ে জীবন প্রদীপ নিভে গেলো তার। বাবা-মা বাজার থেকে বাসায় ফিরে দেখেন ছেলে ওয়ালের সাথে পড়ে আছে। তাকে দ্রুত ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার রাতে লালমোহন পৌর শহরের কলেজ গেইট এলাকায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাকিম মাহি লালমোহন মধ্য বাজারের চালের আড়ৎদার মোঃ মনির হোসেনের ছেলে। মা পশ্চিম বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাহি লালমোহন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
মাহির খালু মনির হাওলাদার জানান, মাহি পলিটেকনিক্যালে পড়ার কারণে নিজে নিজে শিক্ষামূলক কিছু বানানের চেস্টা করতো। তার রুমে বসে সে মর্টার দিয়ে অটোমেটিক ডাস্টবিন বানানের চেস্টায় ছিলো। এসময় অসতর্কতাবসত বিদ্যুতায়িত হয়ে ওয়ালে ছিটকে পড়ে। ঘটনার সময় তার বাবা-মা বাড়িতে ছিল না, তারা বাজারে ছিল। বাজার থেকে ফিরেই তারা ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তার আগেই মাহির মৃত্যু হয়।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জরুরী বিভাগে আনা হয় মাহিকে। ইলেকট্রিক শকে তার মৃত্যু হয়েছে।