০৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২০- ১৩০ ফিট গভীর বোরিং থেকে অনায়াসে মটর উঠানোর যন্ত্র আবিষ্কার

দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১২০- ১৩০ ফিট নিচে পড়ে যাওয়া সাবমার্সিবল মটর উঠানোর এক অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেছেন রাজশাহী শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার  সোহেল রানা। নিজস্ব ওয়ার্কশপে তিনি  এ অত্যাধুনিক  অটো বাইটিং পোলার তৈরি করেছেন। পোলারটি তৈরিতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সহজেই এটি তৈরি করা সম্ভব। পোলারটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা।
গভীর নলকুপ/ডিপ বোরিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এ যন্ত্রটি ব্যবহার করে সব রকম গভীরে পড়ে যাওয়া মটর উঠানো সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার পাত,স্প্রিং,কবজা ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। পোলার টি গভীর পাইপে নামানোর পর একটি তার টেনে লক করে দেয়া হয় আর তখনই মটর বা পাইপ কে সেটি আটকে ধরে  ফলে অনায়াসে মটর বা পাইপটি উঠে আসে।
যন্ত্রটির উদ্যোক্তা ইঞ্জি. সোহেল রানা জানান,তার নিজের পার্কের একটি মটর ছিড়ে পড়ে যায়, একাধিক মিস্ত্রি ও অভিজ্ঞরা সেটিকে উঠানো অসম্ভব বলে জানায়, এরপর লাখ টাকা মূল্যের পাম্প টি উঠোনোর জন্য নিজেই কোন যন্ত্র  তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর  নিজ কারখানায় কর্মচারিদের সহায়তায় মাত্র এক দিনের চেষ্টায় তিনি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম অটো বাইটিং পোলার  তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইঞ্জি. সোহেল  বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্বপ্ল খরচে এই উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি এবং প্রথমবারেই ১৩০ ফিট গভীর থেকে মটর তুলতে সক্ষম হয়েছি ।
এটি  বাজারজাত করতে পারলে অনায়াসে গভীর থেকে সব ধরনের মটর যে কেউ তুলতে পারবে ।
 শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন পার্কের এ্যডমিন জহির রায়হান আলাল, সুপারভাইজার তৌফিক হায়দার, মার্কেটিং অফিসার রাসেল। তারা বলেন আমরা ইঞ্জি. সোহেল ভাইয়ের তদারকিতে, তার পরিকল্পনায় যন্ত্রটি তৈরির কাজে তাকে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত। এটাতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এটিতে সরকার সংশ্লিষ্টরা সুদৃষ্টি দিলে এটি বাজারজাত করে দেশের  বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ১০০ বছরেও রাস্তা হয়নি সংস্কার

১২০- ১৩০ ফিট গভীর বোরিং থেকে অনায়াসে মটর উঠানোর যন্ত্র আবিষ্কার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১২০- ১৩০ ফিট নিচে পড়ে যাওয়া সাবমার্সিবল মটর উঠানোর এক অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেছেন রাজশাহী শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার  সোহেল রানা। নিজস্ব ওয়ার্কশপে তিনি  এ অত্যাধুনিক  অটো বাইটিং পোলার তৈরি করেছেন। পোলারটি তৈরিতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সহজেই এটি তৈরি করা সম্ভব। পোলারটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা।
গভীর নলকুপ/ডিপ বোরিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এ যন্ত্রটি ব্যবহার করে সব রকম গভীরে পড়ে যাওয়া মটর উঠানো সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার পাত,স্প্রিং,কবজা ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। পোলার টি গভীর পাইপে নামানোর পর একটি তার টেনে লক করে দেয়া হয় আর তখনই মটর বা পাইপ কে সেটি আটকে ধরে  ফলে অনায়াসে মটর বা পাইপটি উঠে আসে।
যন্ত্রটির উদ্যোক্তা ইঞ্জি. সোহেল রানা জানান,তার নিজের পার্কের একটি মটর ছিড়ে পড়ে যায়, একাধিক মিস্ত্রি ও অভিজ্ঞরা সেটিকে উঠানো অসম্ভব বলে জানায়, এরপর লাখ টাকা মূল্যের পাম্প টি উঠোনোর জন্য নিজেই কোন যন্ত্র  তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর  নিজ কারখানায় কর্মচারিদের সহায়তায় মাত্র এক দিনের চেষ্টায় তিনি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম অটো বাইটিং পোলার  তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইঞ্জি. সোহেল  বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্বপ্ল খরচে এই উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি এবং প্রথমবারেই ১৩০ ফিট গভীর থেকে মটর তুলতে সক্ষম হয়েছি ।
এটি  বাজারজাত করতে পারলে অনায়াসে গভীর থেকে সব ধরনের মটর যে কেউ তুলতে পারবে ।
 শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন পার্কের এ্যডমিন জহির রায়হান আলাল, সুপারভাইজার তৌফিক হায়দার, মার্কেটিং অফিসার রাসেল। তারা বলেন আমরা ইঞ্জি. সোহেল ভাইয়ের তদারকিতে, তার পরিকল্পনায় যন্ত্রটি তৈরির কাজে তাকে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত। এটাতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এটিতে সরকার সংশ্লিষ্টরা সুদৃষ্টি দিলে এটি বাজারজাত করে দেশের  বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখবে।