০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে বিএনপি নেতাকে স্বপদে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি

বাউফল পৌর বিএনপির অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন কবিরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বিএনপির একাংশ। তারা হুমায়ন কবিরকে বিএনপির দুঃসময়ের কাণ্ডারি উল্লেখ করে বলেন, “হুমায়ন কবির পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছর রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন।

শহরে হাসিনা বিরোধী সকল আন্দোলন তার নেতৃত্বে হয়েছে। তিনি বিএনপি করার অপরাধে কয়েক ডজন মামলার আসামি হয়েছেন। নির্যাতিত হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন। দলের সুসময়ে তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে এনে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”
জাকির হোসেন নামের এক বিএনপি নেতা বলেন,“ হুমায়ন কবির ছিলেন বিএনপির নিবেদিত নেতা। তিনি ছাত্রদল, যুবদল থেকে বিএনপিতে এসেছেন। তার জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় দলের জন্য ব্যয় করেছেন। আমি তার অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে হুমায়ন কবির বলেন,“ আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত  ভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই জেলা কমিটি প্রমাণ করতে পারেনি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর আমি যেখানে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা খবর পেয়েছি, সেখানেই ছুটে গেছি। অথচ আমাকে অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িয়ে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মূলত আমি বিএনপিতে থাকলে কিছু চিহ্নিত নেতার সমস্যা হয়, এ কারণে পরিকল্পিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ১০ আগস্ট পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে গত ১০ আগস্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব তাকে  সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেন।  ১০ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি পদবিহীন দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

রাজবাড়ীর বেলগাছি রেলওয়ে স্টেশন পূনঃচালুকরণ ও পুনঃনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

বাউফলে বিএনপি নেতাকে স্বপদে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বাউফল পৌর বিএনপির অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন কবিরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বিএনপির একাংশ। তারা হুমায়ন কবিরকে বিএনপির দুঃসময়ের কাণ্ডারি উল্লেখ করে বলেন, “হুমায়ন কবির পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছর রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন।

শহরে হাসিনা বিরোধী সকল আন্দোলন তার নেতৃত্বে হয়েছে। তিনি বিএনপি করার অপরাধে কয়েক ডজন মামলার আসামি হয়েছেন। নির্যাতিত হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন। দলের সুসময়ে তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে এনে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”
জাকির হোসেন নামের এক বিএনপি নেতা বলেন,“ হুমায়ন কবির ছিলেন বিএনপির নিবেদিত নেতা। তিনি ছাত্রদল, যুবদল থেকে বিএনপিতে এসেছেন। তার জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় দলের জন্য ব্যয় করেছেন। আমি তার অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে হুমায়ন কবির বলেন,“ আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত  ভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই জেলা কমিটি প্রমাণ করতে পারেনি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর আমি যেখানে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা খবর পেয়েছি, সেখানেই ছুটে গেছি। অথচ আমাকে অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িয়ে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মূলত আমি বিএনপিতে থাকলে কিছু চিহ্নিত নেতার সমস্যা হয়, এ কারণে পরিকল্পিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ১০ আগস্ট পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে গত ১০ আগস্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব তাকে  সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেন।  ১০ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি পদবিহীন দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।