০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাসন থানা শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও প্রতারণার অভিযোগ

বাসন মেট্রোপলিটন থানা শ্রমিকদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে মামলা থেকে নাম কাটানোর আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছেন।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী নেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, আওয়ামী লীগ নেতা রিপন সরকারের ঘনিষ্ঠ জামান সরকারের কাছ থেকে তিনি ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। জামান সরকারকে তিনি জানান, এই অর্থ বাসন থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।এছাড়াও মিতু ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল মজিদের কাছ থেকে ১২ লাখ, আওয়ামী লীগ নেতা ফেলুর কাছ থেকে ৬ লাখ, যুবলীগ নেতা শরীফের কাছ থেকে ১৭ লাখ এবং যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম শুভর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের কাছ থেকেও মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেছেন শহীদুল ইসলাম শহীদ। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি তার ভাই হালিমকে ব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হামলার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের কাজ পরিচালনা করেন। হালিম স্থানীয় যুবলীগের একজন ক্যাডার এবং ৪ আগস্ট ছাত্রজনতার ওপর সরাসরি হামলার ঘটনায়ও জড়িত বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

টাংগাইলের নাগরপুরে কৃষকদল ও ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

বাসন থানা শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও প্রতারণার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বাসন মেট্রোপলিটন থানা শ্রমিকদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে মামলা থেকে নাম কাটানোর আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছেন।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী নেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, আওয়ামী লীগ নেতা রিপন সরকারের ঘনিষ্ঠ জামান সরকারের কাছ থেকে তিনি ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। জামান সরকারকে তিনি জানান, এই অর্থ বাসন থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।এছাড়াও মিতু ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল মজিদের কাছ থেকে ১২ লাখ, আওয়ামী লীগ নেতা ফেলুর কাছ থেকে ৬ লাখ, যুবলীগ নেতা শরীফের কাছ থেকে ১৭ লাখ এবং যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম শুভর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের কাছ থেকেও মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেছেন শহীদুল ইসলাম শহীদ। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি তার ভাই হালিমকে ব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হামলার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের কাজ পরিচালনা করেন। হালিম স্থানীয় যুবলীগের একজন ক্যাডার এবং ৪ আগস্ট ছাত্রজনতার ওপর সরাসরি হামলার ঘটনায়ও জড়িত বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।