
দেশের প্রাচীন রাজধানী ও ঐতিহ্যবাহী পর্যটন এলাকা সোনারগাঁয়ে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি চরম আকার ধারণ করেছে। হাট-বাজার, গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হলেও নেই কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন। এতে করে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর সৃষ্টি হচ্ছে গুরুতর হুমকি।
বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) সকালে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’র আয়োজনে সোনারগাঁয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, “সোনারগাঁয়ে প্রতিদিন যেভাবে বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, তা শুধু পরিবেশ নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে। খাল, ড্রেন, খোলা মাঠ, এমনকি বসতি এলাকাও এখন বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “একদিকে সোনারগাঁয়ে গড়ে উঠেছে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মিল-ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল ও শপিংমল, অন্যদিকে নেই কোনো পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এতে করে পর্যটকদের কাছেও সোনারগাঁর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পরিবেশবাদী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা। তাঁরা বলেন, “শিল্পের উন্নয়ন প্রয়োজন, কিন্তু তা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ ধ্বংস করে টিকে থাকা উন্নয়ন কখনোই টেকসই হতে পারে না।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
- সোনারগাঁয়ের পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের জন্য একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান ডাম্পিং জোন হিসেবে নির্ধারণ করা
- আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি চালু করা
- জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যমের উদ্যোগ গ্রহণ
- পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা
বক্তারা আরও বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এখনই উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে এর ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না।