
বগুড়া শাজাহানপুর থানার মামলা নং-২৪ তারিখ-২৬ জুন ২০২৫,ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড ভিকটিম নিজে মোঃ নুরুল ইসলাম (৪৫), আশা এনজিও, বগুড়া-৩ ব্র্যাঞ্চ এ সিনিয়র লোন অফিসার, পিতা মৃত মোস্তাফিজুর রহমান, স্থায়ী সাং বেলকুচি, থানা-ধুনট, বগুড়া, বর্তমান ঠিকানা সাং মাহবুবনগর, বগুড়া।আসামী মোঃ শামীম (৩৬), পিতা মোঃ বাদশা, মোঃ সাব্বির (১৯), পিতা মৃত নুরুল, মোছাঃ সাথী (৩৩), স্বামী মোঃ শামীম, সর্ব সাং কৈগাড়ী পূর্বপাড়া, শাজাহানপুর। অজ্ঞাতনামা ১ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন যে, বাদী গত ১৬ জুন আনুমানিকন সকাল ০ টায় অফিস থেকে কিস্তি আদায়ের জন্য বাহির হয়ে শাজাহানপুর উপজেলার কৈগাড়ী পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়ায় বিভিন্ন সদস্যদের নিকট থেকে কিস্তি আদায় করিতে থাকে। বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট থেকে সর্বমোট ৯৪,৪৬০/- (চুরানব্বই হাজার চারশত ষাট) টাকা আদায় করিয়া অফিসিয়াল সাইট ব্যাগে রাখে। আশা এনজিও এর গ্রাহক আসামী মোছাঃ সাথী কিস্তির টাকা না দেওয়ায় বাদী সাথীর স্বামী আসামী মোঃ শামীমকে ফোন দিলে সে জানায়, ফুলদিঘী মধ্যেপাড়ায় কাজ করিতেছে। সেখানে গিয়া কিস্তির টাকা নিয়ে আসিতে বলে। সাথীর স্বামীর কথামতো বাদী কৈগাড়ী পূর্বপাড়াস্থ জাকিরের বাড়ী থেকে ফুলদিঘী মধ্যেপাড়ার দিকে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে গত ১৬ জুন দুপুর আনুমানিক ২ টায় শাজাহানপুর উপজেলার ১৩ নং ওয়ার্ড বগুড়া পৌরসভাস্থ ফুলদিঘী মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ আবু সাইদ (২৪), পিতা মৃত আব্দুল হামিদের বাড়ীর সামনে অর্ধপাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে সাখীর স্বামীসহ অন্যান্য আসামীগণ বাদীর পথরোধ করিয়া ঘিরিয়া ধরে এবং আসামী মোঃ সাব্বির একটি ধারালো চাকু আমার বুকের সামনে ধরিয়া মোটরসাইকেল থেকে নামিতে বলে। বাদী প্রাণ ভয়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিলে বাদীর নিকটে থাকা ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করিলে বাদী বাধা প্রদান করে। তাৎক্ষনিক আসামী মোঃ সাব্বির তাহার হাতে থাকা ধারালো চাকু দ্বারা বাদীর পেটের নাভির উপরে ডান পার্শ্বে স্বজোরে আঘাত করিয়া বাদীর নিকট থাকা অফিসিয়াল ব্যাগ জোর পূর্বক ছিনিয়া নেয়, (উক্ত ব্যাগের ভিতর নগদ ৯৪,৪৬০/- (চুরানব্বই হাজার চারশত ষাট) টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ছিল)। বিষয়টি নিয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন এবং মামলা রুজু হয়।মামলাটি তদন্তকালে মামলার তদন্তাকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মোঃ ময়নুল ইসলাম, কৈগাড়ী পুলিশ ফাড়িঁ,শাজাহানপুর থানার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সহিত জড়িত এজাহার নামীয় ছিনতাইয়ের মূল হোতা ২ নং আসামী মোঃ সাব্বির (১৯), পিতা মৃত নুরুল, সাং কৈগাড়ী পূর্বপাড়া, শাজাহানপুর, ১৭ বিকাল ১৭ জুন ঢাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে বনানী বাসষ্ট্যন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার হেফাজত হতে এনজিও কর্মীর ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ৩২,০০০/- টাকা, এবং ছিনতাইয়ের অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত ১ টি কালো রংয়ের অফিস ব্যাগ, ১ টি কালো রংয়ের এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন, সিম নাম্বার ০১৭৬৭-১৯৩১৫৪, যাহার মডেল নাম্বার NOTE 50, Infinix, x6858, যাহার মূল্য ২৫,০০০/- টাকা, ১ টি কাপড়ের ব্যাগের মধ্য রক্ষিত বাদীর ছিনতাইয়ের টাকায় ক্রয়কৃত নতুন (ক) ৩টি কালো রঙ্গের জিন্সের ফুলপ্যান্ট, যাহার মূল্য ৮০০x৩=২৪০০/- টাকা, (খ) ৮ (আট) টি বিভিন্ন কালারের ফুলহাতা শার্ট, যাহার মূল্য ৭০০x৮=৫৬০০/- টাকা, (গ) ২ টি পাঞ্জাবী যাহার মূল্য ১২০০x২=২৪০০/-টাকা, (ঘ) ১ টি টাওজার মূল্য ৬০০/- টাকা, (ঙ) ২টি টিশার্ট যাহার মূল্য ৬০০x২=১২০০/-টাকা, (চ) ১টি সেম্পু যাহার মূল্য ৭৫০/- টাকা, (ছ) ১টি ফেস ওয়াস মূল্য ৩৫০/- টাকা, উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাব্বিরের দেয়া তথ্যমতে ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত থাকা আসামী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (৩২), পিতা মৃত আফতাব হোসেন, সাং শাখারঞ্জন, থানা-খেতলাল, জেলা-জয়পুরহাট, বর্তমান ঠিকানা সাং ফুলদিঘী মধ্যপাড়া, জনৈক সানোয়ারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-শাজাহানপুর, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক (৩৫), পিতা মোঃ মহসিন, সাং ফুলদিঘী মধ্যপাড়া, থানা-শাজাহানপুর, বগুড়াদ্বয়কে গত ১৭ বিকালে ফুলদিঘী মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়।