
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের তাইরাকান্দি গ্রামে জমি-সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে গ্রাম্য সালিশে বসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাহেব-সর্দাররা। সালিশটি আয়োজন করা হয় শামসুল হক সরকার (৮২) এবং নায়েব আলী সরকার (৭০) নামক দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের ভূমি বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে। সালিশ চলাকালে দুই পক্ষের জমির দলিলপত্র যাচাই করেন স্থানীয় বিচারকেরা। অভিযোগ অনুযায়ী, সালিশের রায় শামসুল হকের পক্ষে যেতে পারে এমন আভাস পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েব আলী ও তার অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ হামলা চালায়।এতে নারীসহ ২০জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জাহাঙ্গীর আলম সরকার (৪৯), স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য শাহজালাল (৪২), আক্তার হোসেন (৪০), রিপন মিয়া (৩৫), রনি সরকার (২৮), সিয়াম (২০), সোহরাব (২৮), রাশেদ (৫২), স্বপন (৪০), সেন্টু (৪৫), হালিম (৫৫), নায়েব আলী সরকার (৭০), ফাহাদ (২৬), ফাহিম (২১), খলিল মিয়া (৫৫), ফয়সাল (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), কাউছার (৩২), আইয়ুব আলী (৮০), লুৎফা আক্তার রেখা (৫৫) ও তানিয়া আক্তার (৩৫)।
আহতদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নায়েব আলী সরকার একজন কুখ্যাত ভূমিদস্যু হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির বিএস ও আরএস খতিয়ান জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে করে জমি দখল করে নিচ্ছে। কেউ জমি ফেরত চাইলে তাদের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। এভাবে গত ১৫-১৬ বছর ধরে এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে সে।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শহিদ উল্যাহ
বলেন, “ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।