০৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফকিরহাট সাব-রেজিস্ট্রার মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  • Sk Masum Billah
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • 8
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রে ভুল রিপোর্ট প্রদানের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী মোঃ মনির শেখ। তিনি বর্তমানে বিচারিক ভোগান্তির শিকার হয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোঃ মনির শেখ জানান, তার পিতা মৃতঃ লিয়াকত আলী ১৯৯২ সালে ৬৮২ নং কবলা দলিল মূলে মোঃ মতিয়ার রহমান বিহারা (লখপুর, ফকিরহাট, বাগেরহাট) এর নিকট থেকে ০ঃ০৬৭০ একর জমি ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকেই লিয়াকত হোসেন উক্ত জমিতে পাকা টিনশেড ঘর, বসতঘর এবং দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। বর্তমানে লিয়াকত হোসেনের ওয়ারিশগণ সেই জমিতেই ভোগদখলে রয়েছেন।
মনির শেখের বর্ণনা অনুযায়ী, তার পিতা লিয়াকত আলী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় কিছু লোক আকস্মিকভাবে জমির মালিকানা দাবি করে দখল নিতে আসে। এই পরিস্থিতিতে মনির শেখ আদালতের শরণাপন্ন হন।আদালত মামলা গ্রহণ করে ফকিরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সাব-রেজিস্ট্রার মো. মহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে না গিয়েই উক্ত জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত একটি ভুল রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করেছেন। এর ফলে মামলার জটিলতা আরও বেড়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ফকিরহাট সাব রেজিস্টার মো: মহিদুল  ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান কোট থেকে আমার কাছে তদন্ত চেয়েছিল আমি উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের ডকুমেন্ট এবং বক্তব্য অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রারের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং ভুল রিপোর্ট প্রদানের কারণে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং নিরীহ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি এখন জনমনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, জামাতাসহ আটক ৩

ফকিরহাট সাব-রেজিস্ট্রার মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রে ভুল রিপোর্ট প্রদানের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী মোঃ মনির শেখ। তিনি বর্তমানে বিচারিক ভোগান্তির শিকার হয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোঃ মনির শেখ জানান, তার পিতা মৃতঃ লিয়াকত আলী ১৯৯২ সালে ৬৮২ নং কবলা দলিল মূলে মোঃ মতিয়ার রহমান বিহারা (লখপুর, ফকিরহাট, বাগেরহাট) এর নিকট থেকে ০ঃ০৬৭০ একর জমি ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকেই লিয়াকত হোসেন উক্ত জমিতে পাকা টিনশেড ঘর, বসতঘর এবং দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। বর্তমানে লিয়াকত হোসেনের ওয়ারিশগণ সেই জমিতেই ভোগদখলে রয়েছেন।
মনির শেখের বর্ণনা অনুযায়ী, তার পিতা লিয়াকত আলী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় কিছু লোক আকস্মিকভাবে জমির মালিকানা দাবি করে দখল নিতে আসে। এই পরিস্থিতিতে মনির শেখ আদালতের শরণাপন্ন হন।আদালত মামলা গ্রহণ করে ফকিরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সাব-রেজিস্ট্রার মো. মহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে না গিয়েই উক্ত জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত একটি ভুল রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করেছেন। এর ফলে মামলার জটিলতা আরও বেড়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ফকিরহাট সাব রেজিস্টার মো: মহিদুল  ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান কোট থেকে আমার কাছে তদন্ত চেয়েছিল আমি উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের ডকুমেন্ট এবং বক্তব্য অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রারের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং ভুল রিপোর্ট প্রদানের কারণে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং নিরীহ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি এখন জনমনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।