
বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে জনসচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়াতে নান্দাইলে অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার।আজ ১৯ জুন বুধবার, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক তথ্য অফিস, তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)-এর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে “বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদের করণীয়” শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ-এর উপপ্রধান তথ্য অফিসার জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা সারমিনা ছাত্তার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ-এর পরিচালক জনাব মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ।
মূল প্রবন্ধে আলোচক সমাজে বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সামাজিক, লিঙ্গ ও শিক্ষা-ভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণে রাষ্ট্রের করণীয়, সচেতন নাগরিকের ভূমিকা, এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “ন্যায়ভিত্তিক সমাজ মানে এমন একটি সমাজ, যেখানে প্রত্যেকে সমান সুযোগ পায়, ন্যায্য আচরণ পায় এবং কোনো বৈষম্যের শিকার হয় না। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।”
প্রধান অতিথি সারমিনা ছাত্তার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আগে সমাজের ভিতকে ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে। তবে এসব কার্যক্রমকে টেকসই করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।”সভাপতির বক্তব্যে মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, “তথ্য অধিদপ্তর দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য নিয়মিত সেমিনার ও মতবিনিময়ের আয়োজন করে। আমাদের লক্ষ্য, উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে তথ্যের আলোকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।”সেমিনারে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নারী নেত্রী, যুব প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বৈষম্য হ্রাসে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
সেমিনারটি সচেতন নাগরিক সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয় এবং নান্দাইলে একটি মানবিক, সহনশীল ও সমতা-ভিত্তিক সমাজ গঠনে নতুন করে ভাবনার দরজা খুলে দেবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।