
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহি:বিভাগে টিকিট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখাতে রোগীপ্রতি টিকিটের মূল্য তিন টাকা। সেখানে আদায় করা হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ টাকা। টিকিট বাণিজ্য করে বছরে বারতি নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে দালাল ও হাসপাতালের কর্মকর্তা—কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় রোগীদের। দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ সেবা প্রত্যাশীদের। এ ছাড়া কাউন্টারেও টাঙানো নেই মূল্য তালিকা। সরজমিনে কথা হয় পৌর এলাকার বিনোদপুর মহল্লার সুজন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে আয়ুষার সর্দিকাশি হয়েছে। শিশু ডাক্তার দেখাতে টিকিট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমি ২০ টাকা দিলে কাউন্টার থেকে আমাকে ১০ টাকা ফেরত দেয়। উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের সুবর্ণা জানান, আমি ও আমার মেয়ে দুজনই অসুস্থ্য। দুজনের জন্য ১০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছি। বাড়তি টাকা কখনো চাইও না, আর তারা দেও না। গোবিন্দল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি জানি না টিকিটের মুল্য কত? তবে ১০ টাকা দিয়েছি, আমাকে ৫ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
দুই টাকা ফেরত চাইলে ভাংতি নেই বলে আমাকে দেয়নি। গোপালনগর গ্রামের সুলতানা ও আটি মাইটান গ্রামের হাতেম আলী বলেন, একটি টিকিটের মূল্য ১০ টাকা নিয়েছে। এ রকম অভিযোগ প্রায় প্রতিটি রোগীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহি:র্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন টিকিট কেটে ডাক্তার দেখান ৫’শ থেকে ৭’শ জন।সেই হিসেবে গত এক বছরে প্রায় ১লাখ ৫০ হাজার রোগী বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখান। প্রতি রোগী থেকে অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে ২ থেকে ৭ টাকা। বছরে যার পরিমান ৫-৭ লাখ টাকা। যা সরকারি কোষাগারে কখনও জমা হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. মুশফিকুর রহমান ৫-১০ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ভাংতি থাকলে ফেরত দেই, না থাকলে দিতে পারি না। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. রাফসান রেজা বলেন, ভাংতি জটিলতার কারনে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার ব্যবস্হা করা হবে।