০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাথরঘাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে যুবককে অপহরণ করে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ

বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবককে অপহরণ করে চাঁদা গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক আবুল কালাম ওরফে গদি কালামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবক পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

ওই যুবক বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নান্নু জমাদ্দারের ছেলে নাজমুল জমাদদার (৩০)।

মাকে সঙ্গে নিয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল জমাদ্দার বলেন, সম্প্রতি আমি দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার কিছুদিন পরে পারিবারিক কাজে ঢাকায় গিয়ে গত ১৬ মার্চ রবিবার বাসযোগ কাকচিড়ায় ফিরি। আমাকে কাকচিড়া বাজারে দেখতে পেয়ে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে রায়হানপুর ইউনিয়নের মুচিঘাটা আবসনের ঢেকে নেয়। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্থানীয় জিসান ও আলমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ওই আবাসনে অপরচিত বিবাহিত এক নারীর ঘরে উঠায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই  জিসান ও আলমের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি আমার হাত-পা বেঁধে আমাকে উলঙ্গ করে বেদমভাবে মারপিট করে। মারপিটের একপর্যায়ে স্থানীয় কবির ডাক্তারের মাধ্যমে আমার বাবা নান্নু জমাদ্দারের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা চাঁদা নেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম। চাঁদার টাকা গ্রহণ শেষে আমাকে কবির ডাক্তারের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আরো ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই বিএনপি নেতা আবুল কালাম ওরফে গদি কালাম। তবে বিএনপি নেতার দাবিকৃত ওই ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার বস্ত্রহীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মান সম্মানহানি করেছে‌। এ ঘটনা আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই। আর মানসম্মান হানির বিচার না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।

নাজমুল জমাদ্দার আরও বলেন, আমার চাচা মজনু জোমাদ্দার  স্থানীয় রায়হানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার আশাপোষণ করার পর থেকেই আবুল কালাম ওরফে গদি কালাম আমি ও আমার পরিবারসহ আমাদের বংশের লোকজনকে গায়েল করা ও আমার চাচা মজনু জোমাদ্দারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন কৌশল করে আসছিল।

তার ধারাবাহিকতায় আমাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে বিএনপি নেতা আবুল কালাম।

এ ব্যাপারে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম বলেন, নাজমুল জোমাদ্দার এক নারীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটককরে আমাকে ফোনদিলে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে লজ্জায় কিছু না বলে চলে আসি। তবে  নাজমুল জোমাদ্দারের চাচার সাথে আমার বিরোধ থাকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন

পাথরঘাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে যুবককে অপহরণ করে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবককে অপহরণ করে চাঁদা গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক আবুল কালাম ওরফে গদি কালামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবক পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

ওই যুবক বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নান্নু জমাদ্দারের ছেলে নাজমুল জমাদদার (৩০)।

মাকে সঙ্গে নিয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল জমাদ্দার বলেন, সম্প্রতি আমি দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার কিছুদিন পরে পারিবারিক কাজে ঢাকায় গিয়ে গত ১৬ মার্চ রবিবার বাসযোগ কাকচিড়ায় ফিরি। আমাকে কাকচিড়া বাজারে দেখতে পেয়ে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে রায়হানপুর ইউনিয়নের মুচিঘাটা আবসনের ঢেকে নেয়। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্থানীয় জিসান ও আলমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ওই আবাসনে অপরচিত বিবাহিত এক নারীর ঘরে উঠায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই  জিসান ও আলমের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি আমার হাত-পা বেঁধে আমাকে উলঙ্গ করে বেদমভাবে মারপিট করে। মারপিটের একপর্যায়ে স্থানীয় কবির ডাক্তারের মাধ্যমে আমার বাবা নান্নু জমাদ্দারের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা চাঁদা নেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম। চাঁদার টাকা গ্রহণ শেষে আমাকে কবির ডাক্তারের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আরো ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই বিএনপি নেতা আবুল কালাম ওরফে গদি কালাম। তবে বিএনপি নেতার দাবিকৃত ওই ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার বস্ত্রহীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মান সম্মানহানি করেছে‌। এ ঘটনা আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই। আর মানসম্মান হানির বিচার না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।

নাজমুল জমাদ্দার আরও বলেন, আমার চাচা মজনু জোমাদ্দার  স্থানীয় রায়হানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার আশাপোষণ করার পর থেকেই আবুল কালাম ওরফে গদি কালাম আমি ও আমার পরিবারসহ আমাদের বংশের লোকজনকে গায়েল করা ও আমার চাচা মজনু জোমাদ্দারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন কৌশল করে আসছিল।

তার ধারাবাহিকতায় আমাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে বিএনপি নেতা আবুল কালাম।

এ ব্যাপারে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম বলেন, নাজমুল জোমাদ্দার এক নারীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটককরে আমাকে ফোনদিলে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে লজ্জায় কিছু না বলে চলে আসি। তবে  নাজমুল জোমাদ্দারের চাচার সাথে আমার বিরোধ থাকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে।