
লিখিত বক্তব্য বলেন প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত (১৮ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বিএনপি কর্মী সরুপ মহন্ত এর চায়ের দোকানে চা খাওয়া নিয়ে আঃ সালাম নামের স্থানীয় একব্যক্তি ও দলিল করতে আসা পৌরএলাকার শখারুঞ্জ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন নামের একব্যক্তি ও বগুড়া থেকে আসা তার দুই সহযোগীর সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমন সময় আমার ছেলে সেখানে গিয়ে ধরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা- পুলিশে খবরদিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারজনকে থানায় নিয়ে আসে। তারা থানায় এসে আমার ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাদাবীর মিথ্যে অভিযোগ করে। এমন ঘটনা জানতে পেরে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও আহসান হাবিব চপল উকিল থানায় গিয়ে ঘটনাটির সত্যতা পেয়ে আমার ছেলেকে জানায়। তখন আমার ছেলে ও তার অনুসারীরা মিথ্যে অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ক্ষেলতাল থানার মুল ফটকের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষনা করে থানার মুল ফটকে অবস্থান কর্মসুচীর ঘোষনা করে । সে সময় ডিউটিরত এক পুলিশ সদস্য কাজী ফারুক তাদের বাঁধাদেয়। অপর এক পুলিশ সদস্য সুমুন তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। আমার ছেলে তাকে ভিডিও করতে নিশেধ করায় সে চড়াও হয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় সেখানকার পথচারী ও শতাধিক উৎসুক জনগন জমায়েত হয়ে ভিড় জমায়। এমন অবস্থা দেখে উৎসুক জনগন সরিয়ে দিতে ওসি মহোদয় জেলা সেনাক্যাম্পে খবরদিলে তারা এসে ওই উৎসুক জনগনকে লাঠিচার্জ করে সকলকে সড়িয়ে দেয়। এমন ঘটনায় আমার ছেলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তাকে প্রধান আসামী করে প্রকৃত সত্য ঘটনা কে আড়াল করে তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করায় আমি বৃদ্ধ বয়সে হতবাগ হয়েছি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সঠিক তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমার ছেলেকে নিঃশত্ব মুক্তির দাবি গত ৫ আগষ্ট আমি ও আমার স্ত্রী উভয়ই থানা ও ইউএনও অফিস ছাত্রজনতার ভাংচুরের হাত থেকে রক্ষা করি যা তৎকালিন ওসি ও ইউএনও মহোদয় অবগত আছেন। আমার ছেলে মেহেদি আশিক পার্থ দির্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত। আমার ছেলের সফলতায় ঈর্শান্বিত হয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে হেয়প্রতিপন্ন করার হীন মানসে মিথ্যা অভিযোগ এনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। আবার সাংবাদিক বন্ধুদের মিথ্যা ভুল তথ্যদিয়ে
সোসাল মিডিয়া, ইলেক্টনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একযোগে অসত্য নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। নিউজটি
আমার ও মেহেদী আশিক পার্থ এর শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দলীয় নীতি নির্ধারক পর্যায়ে নেতৃ বৃন্দের দৃষ্টিগোচর
হয়েছে। আমি তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার ও মেহেদি আশিক পার্থ
নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমার ছেলে মেহেদী আশিক পার্থ একজন সফল রাজনীতিক ব্যক্তি এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর কোন অভিযোগ নেই। বিএনপি’র দুর্দিনের কান্ডারী হিসেবে দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে তার দলীয় অবস্থান মজবুত করেছে। ওই অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদাদাবি ও থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি মামলা করেছে এর সাথে আমার ছেলে কোনো ভাবে সম্পৃক্ততা নেই ।