
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বোরো মৌসুমে উপজেলা সেচ কমিটি জমি ভেদে প্রতি একর জমিতে সেচের পানির মূল্য নির্ধারণ করেছে ২ হাজার আটশো টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার চারশো টাকা। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানার গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন নির্ধারিত মূল্য সাধারণ কৃষকরা জানেন না এ সুযোগে কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে নবাবগঞ্জ উপজেলার গভীর নলকুপ মালিকরা। অতিরিক্ত ও আগাম সেচমূল্য না দিলে গভীর নলকূপ মালিকেরা জমিতে পানি না দেওয়ার অভিযোগ করছেন কৃষকরা। পুটিমারা ইউনিয়নের শেরনগর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান,শেরনগর মৌজায় ৫৮ শতক আবাদি জমি চাষ করি, প্রতি বছর সেচের পানি দিলেও চলতি বছরে নলকুপ মালিক আশরাফুলের সঙ্গে ব্যাক্তিগত বিষয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় এর জন্য চলতি মৌসুমে সেচ না দেওয়াই বোরো রোপন করতে পারি নাই,এবিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছি। উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টিমুরাদপুর গ্রামের কৃষক আসমান আলী জানান,প্রতি একর জমিতে সেচের পানি নিতে গেলে সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। নলকুপ মালিক যে দাম নির্ধারণ করে দেন সেটা না দিলে তারা পানি দেয় না। অগ্রিম টাকা ছাড়াও পানি পাওয়া যায় না। এদিকে ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পুটিহার গ্রামের গভীর নলকূপ অপারেটর রুহুল আমিন বলেন,উচু জমিতে পানি বেশি দিতে হয় এজন্য সেচ মূল্য বেশি নিতে হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত মূল্য জানা নেই। বিদ্যুৎ বিল,শ্রমিক,ডেইনম্যানসহ বিভিন্ন খরচের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়। উপজেলা বিএডিসি উপসহকারী প্রকৌশলী ও সেচ কমিটির সদস্য সচিব শ্রী জয় কুমার সরকার জানান, সেচের সরকারি মূল্য থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে নলকুপ মালিকরা ঘটনার সত্যতা নিশকরবলেন,নলকুপ মালিকরা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে,শ্রমিকের দাম বাড়ছে এজন্য একটু বেশি টাকা নেই তারা। নলকুপ মালিকদের মৌখিক বলা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবোনা। সম্প্রতি একটি জমিতে সেচ না দেওয়াতে কৃষকের অভিযোগে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে,পারিবারিক কলহের কারনে সেচ দেইনি ঐ নলকুপ মালিক।