
নরসিংদীতে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে স্বামী।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শেখেরচর-বাবুরহাট বাজারের তিনতলা একটি ভবনের কার্ণিশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বামীর মরদেহ। এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই থানার বালুসাইর এলাকার নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মহিষাশুরা ইউনিয়নের বালুসাইর এলাকার রাজু মিয়া এবং মানছুরা বেগমের ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরেই রাজু মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতে। ধারণা করা হচ্ছে কলহের জের ধরেই গতকাল স্ত্রী মানছুরা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় স্বামী । পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা ভেঙে পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর থেকেই স্বামী রাজু মিয়া পলাতক ছিলেন।
সবশেষ শনিবার বেলা ১১টায় বাবুরহাটের একটি তিনতলা ভবনের কার্ণিশে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী রাজু মিয়ার মরদেহ দেখতে পায় বাজারের ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল ওই নারীর নিজ বসতঘরের দরজার তালা ভেঙে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় তার স্বজনরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে শেখেরচর-বাবুরহাটে তার পলাতক স্বামীর মরদেহের খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে শেখেরচর পুলিশ ফাঁড়ি। ধারণা করা হচ্ছে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।