
পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের, গৌড়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। প্রধান শিক্ষক, মোঃ আব্দুল মজিদের নামে দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই, বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অতি নগণ্য। শিশু শ্রেণী হইতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সকল ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে, অর্ধেক ছাত্রছাত্রী ও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না।এ বিষয়ে আব্দুল মজিদের কাছে জানতে চাইলে, সে জানায়, পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি ক্যাডেট স্কুল থাকায়, এলাকার বেশির ভাগ, ছাত্র-ছাত্রী ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করায়।এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি। গৌড়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, শিক্ষার গুণগত মান খুবই খারাপ. এবং আরো জানায়, বিদ্যালয় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ৯.৩০ মিনিটে থাকলেও শিক্ষকরা সঠিক সময় পৌঁছায় না। বিদ্যালয় ঠিক ভাবে ক্লাস হয় না, নেই কোন ক্লাস রুটিন । প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ ক্লাস শুরুর অনেক পরে বিদ্যালয়ে আসে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষ হবার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। অভিভাবকরা আরো জানায় বিদ্যালয় চলাকালিন সময় তাকে একাধিক বার অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে জানতে পারি। বিদ্যালয় এর বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেন। চলমান বছরে বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়নি।এই বিষয়ে জানত চাইলে তিনি জানান বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কোন সরকারি বাজেট নেই। এবং শিশু শ্রেনীর জন্য একটি আধা পাকা ঘরের বরাদ্দ আসলে, আব্দুল মজিদ শিশু শ্রেণীর পুরাতন টিনশেড ঘর ও পুরাতন ইট বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে। এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য স্লিপ কমিটির ৭০ হাজার টাকা বাজেট আসলে। সে বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন মূলক কাজ না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে।এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি জন্য, পঞ্চম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট বা প্রশংসা পত্র তুলতে গেলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
দৈনিক আজকের খবরের প্রতিনিধি, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আব্দুল মজিদের কাছে সত্যতা যাচাই করতে চাইলে, তিনি বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভিতি দেখায় এবং জানায়, আমি শিক্ষিত মানুষ আমি এ সকল বিষয় খুব ভালো করে বুঝি। আমার প্রতিষ্ঠান চলবে কি বন্ধ হবে সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। পরবর্তীতে আপনারা আমার প্রতিষ্ঠানে না আসলে খুশি হব। এলাকার সচেতন জনগণ জানায়, আমাদের এলাকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য আমরা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এলাকার সচেতন জনগনের দাবি,প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদকে যদি প্রতিষ্ঠান থেকে বদলি করে,নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।তবে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সম্ভব।