১০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা লয়লুছ মিয়ার মৃত্যু, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

  • md Amir
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • 188

বালাগঞ্জে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা লয়লুছ মিয়ার মৃত্যু, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের বড়ভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস থামানো নিয়ে শুরু হওয়া কথাকাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে আহত বালাগঞ্জ ইউনিয়নের শিরিয়া গ্রামের লয়লুছ মিয়া (৫০) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
গত রবিবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত লয়লুছ মিয়া ময়না মিয়ার পুত্র।
তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইউনুস মিয়ার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে আধাপাকা একটি ঘর, আসবাবপত্র, চারটি ছাগল, ধান, হাঁস-মুরগি আগুনে পুড়ে যায়। পরে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফজ্জামান, বালাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম এবং বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১০ মে) বিকেলে শিরিয়া গ্রামের সুমন মিয়া একটি বাস থামানোর জন্য ইশারা দিলেও বাসটি না থেমে বড়ভাঙ্গা খেয়াঘাট স্ট্যান্ডে চলে যায়। পরে সুমন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চালকের সঙ্গে কথা বলার সময় বাকবিতণ্ডা হয়। বাস চালকের পক্ষ নিয়ে মানিক মিয়া, যিনি খেয়াঘাট স্ট্যান্ডের ম্যানেজার এবং নিহত লয়লুছ মিয়ার ভাই, সেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে সুমন মিয়া ও তার অনুসারীদের সঙ্গে মানিক ও লয়লুছ মিয়ার সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন। গুরুতর আহত লয়লুছ মিয়াকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বালাগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

চাটমোহর থানা পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা আটক

বালাগঞ্জে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা লয়লুছ মিয়ার মৃত্যু, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বালাগঞ্জে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা লয়লুছ মিয়ার মৃত্যু, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের বড়ভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস থামানো নিয়ে শুরু হওয়া কথাকাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে আহত বালাগঞ্জ ইউনিয়নের শিরিয়া গ্রামের লয়লুছ মিয়া (৫০) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
গত রবিবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত লয়লুছ মিয়া ময়না মিয়ার পুত্র।
তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইউনুস মিয়ার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে আধাপাকা একটি ঘর, আসবাবপত্র, চারটি ছাগল, ধান, হাঁস-মুরগি আগুনে পুড়ে যায়। পরে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফজ্জামান, বালাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম এবং বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১০ মে) বিকেলে শিরিয়া গ্রামের সুমন মিয়া একটি বাস থামানোর জন্য ইশারা দিলেও বাসটি না থেমে বড়ভাঙ্গা খেয়াঘাট স্ট্যান্ডে চলে যায়। পরে সুমন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চালকের সঙ্গে কথা বলার সময় বাকবিতণ্ডা হয়। বাস চালকের পক্ষ নিয়ে মানিক মিয়া, যিনি খেয়াঘাট স্ট্যান্ডের ম্যানেজার এবং নিহত লয়লুছ মিয়ার ভাই, সেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে সুমন মিয়া ও তার অনুসারীদের সঙ্গে মানিক ও লয়লুছ মিয়ার সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন। গুরুতর আহত লয়লুছ মিয়াকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বালাগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।