
মাগুরা বেরইল পলিতায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে চাচা ও ভাস্তে। গত শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে নিখোঁজ হওয়ার পর ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়ির পাশের পাটের খেত থেকে উদ্ধার করে পরিবার।পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কিশোরীর চাচাতো ভাই।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কিশোরীকে প্রায়শই বাড়িতে বেঁধে রাখা হত। শুক্রবার দুপুরে তাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির কাছেই একটি পাটখেতে তাকে পাওয়া যায়।কিশোরীর মা জানান, উদ্ধারের পর তিনি বুঝতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার (১৭ মে) মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পরপরই অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আয়ুব আলী জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত মো. শাওন।ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য রবিবার (১৯ মে) মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ভুক্তভোগীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, জুমার নামাজের পর তিনি মেয়েকে গোসল করিয়ে বারান্দায় রেখে নিজে গোসল করতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। পরে যখন মেয়েকে পাওয়া যায়, তখন তার সারা শরীরে কাদা মাখা ছিল। তিনি এই জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এদিকে, এ ঘটনার খবর শুনে রবিবার রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। রাত ৮ টার দিকে মাগুরা হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অপু ও ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ। এ সময় বক্তারা অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন ।