
ইয়াবা কি ?? মাদক,?? নাকি যৌন উত্তেজক?
১৬ ই জুন ২০২৫’ সোমবার দেশের প্রায় শহর বন্দর গ্রামে গঞ্জে এমন কি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌছে গেছে ইয়াবা সেবন কারী, ক্ষতিকারক এই টেবলেটি সেবনে, অপ্রাপ্তবয়সে ছেলে গুলো এই টেবলেট সেবন করে, বাবা মায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করেদিচ্ছে টাকার জন্য, টাকা না দিলে নেশায় আসক্ত হয়ে খুনের মত ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে, চোরি ডাকাতি ছিনতাই ইফতিজিং সহ নানা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন, লেখা পড়া ছেরে অল্প বয়সে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে অভিভাবকদের কে, বিয়ে না করাতে চাইলে বিষ খেয়ে আত্ম হত্যা করার হুমকিও দিচ্ছে, কেউ কেউ এমন ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে খবরের পাতা খুললেই দেখা যায়, গত ১৪ই জুন ২০২৫’ শনিবার , (শেরপুরের) নালিতাবাড়ীতে এমন ঘটনা ঘটে, আকাশ নামের এক ছেলে (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া, তার ক্লাস মেন এক মেয়ের সাথে দৈঘ্য দিনের প্রেমের সম্পর্ক, অভিভাবকে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে, অভিভাবক না করাতে আত্ম হত্যার হুমকি দেয়, পরে বাধ্য হয়ে মেয়ের গার্জেনের কাছে প্রস্তাব পাঠায়, মেয়ে পক্ষ থেকে না প্রস্তাব আসে, ছেলে শুনতে পেয়ে বিষ খেয়ে আত্ম হত্যা করার চেষ্টা করে, কিন্তু কাছে লোক থাকায় সেটা থেকে রক্ষা পায়, পরে তার কাছের বন্ধুদের কাছে তথ্য পাওয়া যায় বেশ কিছু দিন যাবত ইয়াবা টেবলেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পরেছে, এদিকে প্রেমের ছেকা অন্য দিকে ইয়াবা খেলে লাগে টাকা, মানুসিক চাপে বিষ খেতে চায়, তা না পারায় খেয়েছে ঘুমের টেবলেট, অন্য দিকে সদ্য মাদকের নেশা না কেটে উঠতেই ঘুমের টেবলেটে করছে রি একশন, ( প্রশ্ন হলোঃ যেই দোকান থেকে ঘুমের টেবলেট কিনে খায় সেই দোকানেই আবার প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়,,) এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই খবর পাওয়া যায় রামচন্দ্রকুড়া কেরেঙ্গাপাড়া থেকে ইব্রাহিম (২২) নামের এক ইয়াবা কারবারি যুবককে, ছদ্মবেসে গ্রেফতার করেন নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ , এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকটা এলাকায় এমন কারবারি আছে, এই কারবারি গুলো ও সেবন কারি গুলো খুব খারাপ প্রক্রিতির হয়ে থাকে তাই সহজে কেউ তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে, শত্রুতা হওয়ার ভয়ে অনেকে দেখেও না দেখার বান করে, আমার মনে হয় আইন প্রয়োগ কারী প্রশাসনিক তৎপর আরো বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে, না হয় এবাবে চলতে থাকলে সারা দেশে চোরি, ডাকাতি ছিনতাই খুন খারাপি নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন অপকর্ম হতে পারে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞগন।
“””””””” ইয়াবা সেবনে “”””””””
(পার্শপ্রতিক্রয়া ও উপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা)
১/জেনে রাখা আবশ্যক যে এ ট্যাবলেটটি মূলত হিটলার এর সময়ে নাৎসি সেনাদের বড়ি হিসেবে সেবন করানো হত যেন যুদ্ধ চলাকালিন তারা ২৪ ঘন্টার অধিক সময় জেগে থাকতে পারে, কিন্তু বর্তমানে ট্যাবলেটটি বিভিন্ন দেশে মাদক দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।প্রথমদিকে ইয়াবা যৌনউত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করলে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরন, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, ক্ষুধামন্দা এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা যেতে পারে। ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, বৃক্ক সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথাইরয়েডিজম বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা। দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে। এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন।(তথ্যসূত্র) ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে।
তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে
” মূল কথা হলো, ৫ই আগষ্ট ২০২৪ ‘ গনঅভ্যুত্থানে সৈরাচারী আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর আইন শৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হয়ে যায়, সেই সুযোগ পেয়ে এই সব মাদক কারবারী গুলো বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায়, শুধু কি তাই কিছু কিছু ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধা ও তাদের অনুসারী কিছু ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদকের ব্যবসা করে আসছে পূর্বে থেকেই এখন তারা এই দেশটাকে দংশ করার জন্য যুব সমাজের মস্তিষ্ক নষ্ট করে, খুন খারাপি চোরি ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানি বৃদ্ধি করে দেশের মাঝে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে উঠে পরে লেগেছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখন জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে দেশের সূষ্ঠ্য সু শৃঙ্খল ফিরিয়ে আনতে, এই মাদক কারবারী দেশ ও সমাজের শত্রু গুলোকে স্বমূলে নিমূল করা অতন্দ্র জরুরি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞগন,