
২৬ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা, তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষাকে ঘিরে নানা চিন্তা ও দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই দুশ্চিন্তা অনেক সময় পরীক্ষার ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হলো। এগুলো মেনে চললে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং ভালো ফলাফল অর্জন সহজ হবে।
(১) পরীক্ষার প্রবেশপত্র (এডমিট কার্ড) সংগ্রহের পর কয়েকটি ফটোকপি করে ঘরে রেখে দেবে। প্রয়োজনে ফটোকপিটিকে প্রধান শিক্ষকের সত্যায়নে ব্যবহার করা যাবে।
(২) পড়ার টেবিলের সামনে পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) টানিয়ে রাখবে, যাতে প্রতিদিন চোখে পড়ে।
(৩) একটি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে রুটিন দেখে পরবর্তী বিষয়ের প্রস্তুতি শুরু করবে।
(৪) পরীক্ষার আগের রাতে দেরি করে জেগে না থেকে যথাসময়ে ঘুমিয়ে পড়বে এবং সকালে উঠে হালকা রিভিশন নেবে।
(৫) কোনো বিষয়ের জন্য অকারণে মানসিক চাপ নেবে না এবং কোনো কিছুতেই তাড়াহুড়া করবে না।
(৬) পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সব উপকরণ যেমন প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, স্কেল, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি আগের রাতেই গুছিয়ে রাখবে।
(৭) হালকা ব্যবহৃত কয়েকটি কালো বলপয়েন্ট কলম সঙ্গে রাখবে, কারণ নতুন কলমে শুরুতে লেখা কিছুটা ধীর হতে পারে।
(৮) পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হবে। সেজন্য যথেষ্ট সময় হাতে রেখে বাসা থেকে বের হবে।
(৯) রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয় কোড যথাযথভাবে ইংরেজি অঙ্কে লিখে সাবধানে কালো বলপয়েন্ট কলমে বৃত্ত পূরণ করবে। পেন্সিল, নীল বা কালো জেলপেন দিয়ে বৃত্ত পূরণ করবে না।
(১০) বৃত্ত পূরণের সময় ভুল হলে আতঙ্কিত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানাবে। সংশোধনের দায়িত্ব তাঁরই।
(১১) নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রথমেই সেট কোড সঠিকভাবে লিখে ও বৃত্ত ভরাট করে নেবে। এটি ভুল হলে সংশোধন জটিল হতে পারে।
(১২) হিসাববিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিষয়ে খাতায় মার্জিন দেবে এবং সেই মার্জিন যেন এক স্কেলের বেশি না হয়, তা নিশ্চিত করবে।
(১৩) পরীক্ষার দিনে অবশ্যই নিজ বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে কেন্দ্রে যাবে এবং শিক্ষক-সহপাঠীদের সাথে নম্র আচরণ করবে।
(১৪) পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে নিজের অর্জিত জ্ঞান আনন্দের সঙ্গে প্রকাশ করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করবে।
(১৫) পরীক্ষার হলে নিজের সিটের আশেপাশে যদি কোনো অপ্রয়োজনীয় কাগজ বা বস্তু থাকে, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে দেখিয়ে সরিয়ে দেবে।
(১৬) পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করবে—এটাকে জীবনের এক উৎসব ভাববে।
সব পরীক্ষার্থীর জন্য রইলো আন্তরিক শুভকামনা।