১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির ছবি দিয়ে ভিডিও আপলোড দেওয়ার অভিযোগ

  • Anowar 187302
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • 14
নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে হাতিয়া দ্বীপ কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা  যিনি পরিবার ও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কিন্তু শোকের মাঝেও নতুন করে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে একটি ভিডিও নিয়ে, যেটি পরিবারের অনুমতি ছাড়া তৈরি ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম জিহাদ নামের এক সাংবাদিক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি মৃত শিক্ষার্থীর ছবি সামনে ধরে আবেগপ্রবণ বক্তব্য দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন এবং তা ফেসবুক রিলস ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার করেন।
শান্তার ভাই বলেন, “আমরা গভীর শোকে আছি। এই মুহূর্তে কেউ যদি আমাদের অনুভূতি ব্যবহার করে মনগড়া ভিডিও বানিয়ে প্রচার করে, সেটা শুধু অন্যায় নয়—মানবিক দিক থেকেও অত্যন্ত অমানবিক।”
তিনি আরও জানান, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জিহাদ আমাদের অনুমতি না নিয়েই এই ভিডিও তৈরি ও প্রকাশ করেছেন, যা আমাদের পরিবারকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে কারও ব্যক্তিগত ছবি অপব্যবহার না করে।”
এ বিষয়ে এলাকাবাসী এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই ওই ভিডিওটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন— শোকের মুহূর্তে এমন কাজ খুবই অগ্রহণযোগ্য।
স্থানীয়রা মনে করেন, ব্যক্তিগত শোককে পুঁজি করে মনগড়া কনটেন্ট বানানো সমাজে অসংবেদনশীলতার চিত্র তুলে ধরে এবং এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

হাতিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির ছবি দিয়ে ভিডিও আপলোড দেওয়ার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে হাতিয়া দ্বীপ কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা  যিনি পরিবার ও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কিন্তু শোকের মাঝেও নতুন করে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে একটি ভিডিও নিয়ে, যেটি পরিবারের অনুমতি ছাড়া তৈরি ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম জিহাদ নামের এক সাংবাদিক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি মৃত শিক্ষার্থীর ছবি সামনে ধরে আবেগপ্রবণ বক্তব্য দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন এবং তা ফেসবুক রিলস ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার করেন।
শান্তার ভাই বলেন, “আমরা গভীর শোকে আছি। এই মুহূর্তে কেউ যদি আমাদের অনুভূতি ব্যবহার করে মনগড়া ভিডিও বানিয়ে প্রচার করে, সেটা শুধু অন্যায় নয়—মানবিক দিক থেকেও অত্যন্ত অমানবিক।”
তিনি আরও জানান, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জিহাদ আমাদের অনুমতি না নিয়েই এই ভিডিও তৈরি ও প্রকাশ করেছেন, যা আমাদের পরিবারকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে কারও ব্যক্তিগত ছবি অপব্যবহার না করে।”
এ বিষয়ে এলাকাবাসী এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই ওই ভিডিওটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন— শোকের মুহূর্তে এমন কাজ খুবই অগ্রহণযোগ্য।
স্থানীয়রা মনে করেন, ব্যক্তিগত শোককে পুঁজি করে মনগড়া কনটেন্ট বানানো সমাজে অসংবেদনশীলতার চিত্র তুলে ধরে এবং এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।