০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে বেরোবি শিক্ষার্থীরা

  • Rakibul Hasan Munna
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • 26
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় তাদের অবস্থান কর্মসূচি।
জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এই প্রতিবেদন ও চার্জশিটে অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিক্ষোভ করে এবং দক্ষিণ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, “আমরা ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেও তারা আসেননি। তাদের দাবি, হামলা ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।”
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার বড় উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং এই ঘটনায় পুনঃতদন্তের দাবি জানায়। একইসঙ্গে, সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধানকে ঘিরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তার ব্যাখ্যা দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য প্রদান করেনি।
উল্লেখ্য, এ মামলায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে বেরোবি শিক্ষার্থীরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় তাদের অবস্থান কর্মসূচি।
জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এই প্রতিবেদন ও চার্জশিটে অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিক্ষোভ করে এবং দক্ষিণ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, “আমরা ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেও তারা আসেননি। তাদের দাবি, হামলা ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।”
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার বড় উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং এই ঘটনায় পুনঃতদন্তের দাবি জানায়। একইসঙ্গে, সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধানকে ঘিরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তার ব্যাখ্যা দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য প্রদান করেনি।
উল্লেখ্য, এ মামলায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।