১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীর ডিমলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব নানান আয়োজনে অনুষ্ঠিত

  • এরশাদ আলম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • 20
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের গৌড়ীয় আশ্রমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ২৭শে জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাতন রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শুরু হয়। আট দিনের এই আনন্দ আয়োজন নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উল্টো রথের মাধ্যমে শেষ হবে।কথিত আছে, এই তিথিতে জগন্নাথদেব তাঁর ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে মাসির বাড়ি যান। সেখান থেকে সাত দিন পর মন্দিরে ফিরে আসেন। এই যাওয়াকে ‘সোজা রথ’ এবং ফিরে আসাকে ‘উল্টো রথ’ বলা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ অর্থ বিশ্ব এবং নাথ অর্থ ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তাঁর অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তি লাভ হয় এবং জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রথের ওপর জগন্নাথদেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন।
উপজেলার গৌড়ীয় আশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২টায় জগন্নাথের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার পরপরই রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রা উৎসবে আসা নর-নারীরা রথের রশি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে চলছিল হরিনাম সংকীর্তন এবং নারীরা উলুধ্বনি দিচ্ছিলেন।
রথযাত্রা উৎসব কমিটির সভাপতি প্রবীর দাস অধিকারী জানান, আজকের রথযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় তালতলা সাধুবাজার সার্বজনীন হরি মন্দিরে প্রতিমা রাখা হবে। সেখানে নয় দিন অবস্থানের পর আগামী শনিবার (৫ই জুলাই) উল্টো রথযাত্রা উৎসবের মধ্য দিয়ে পুনরায় গৌড়ীয় আশ্রমে ফিরিয়ে আনা হবে।
এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গছাড়াও ডিমলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাবু জ্যোতি রঞ্জন রায়, সুবোধ কুমার রায়, দিপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

লাম্পিতে বিপর্যস্ত খামারিরা

নীলফামারীর ডিমলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব নানান আয়োজনে অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের গৌড়ীয় আশ্রমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ২৭শে জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাতন রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শুরু হয়। আট দিনের এই আনন্দ আয়োজন নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উল্টো রথের মাধ্যমে শেষ হবে।কথিত আছে, এই তিথিতে জগন্নাথদেব তাঁর ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে মাসির বাড়ি যান। সেখান থেকে সাত দিন পর মন্দিরে ফিরে আসেন। এই যাওয়াকে ‘সোজা রথ’ এবং ফিরে আসাকে ‘উল্টো রথ’ বলা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ অর্থ বিশ্ব এবং নাথ অর্থ ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তাঁর অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তি লাভ হয় এবং জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রথের ওপর জগন্নাথদেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন।
উপজেলার গৌড়ীয় আশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২টায় জগন্নাথের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার পরপরই রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রা উৎসবে আসা নর-নারীরা রথের রশি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে চলছিল হরিনাম সংকীর্তন এবং নারীরা উলুধ্বনি দিচ্ছিলেন।
রথযাত্রা উৎসব কমিটির সভাপতি প্রবীর দাস অধিকারী জানান, আজকের রথযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় তালতলা সাধুবাজার সার্বজনীন হরি মন্দিরে প্রতিমা রাখা হবে। সেখানে নয় দিন অবস্থানের পর আগামী শনিবার (৫ই জুলাই) উল্টো রথযাত্রা উৎসবের মধ্য দিয়ে পুনরায় গৌড়ীয় আশ্রমে ফিরিয়ে আনা হবে।
এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গছাড়াও ডিমলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাবু জ্যোতি রঞ্জন রায়, সুবোধ কুমার রায়, দিপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।