ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলেরচর গ্রামের একটি সড়ক পাকাকরণে সিমেন্টের আস্তরণযুক্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে উপজেলার রাউলেরচর গ্রামের রাস্তাটি ১ হাজার ২০০ মিটার পাকা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সড়কের কাজ হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে। যার কারণে রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী না হয়ে অল্পদিনেই ভেঙে যাওয়ার আশংকা করছেন তারা।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির তথ্যমতে, উপজেলার রাউলেরচর গ্রামের সড়কটি আমির হোসেন মাওলানার বাড়ি থেকে ডাক্তারবাড়ির শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ মিটার পাকা করার কাজ শুরু হয় গত জানুয়ারি মাসে। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাজটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফুল ইসলামকে। সরেজমিন দেখা যায়, এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট,পুরাতন দেয়াল ভাঙ্গা সিমেন্টের আস্তরণযুক্ত ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাস্তার কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইট ও খোয়ার মান যাচাই না করেই রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যাবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই যায়গায় আমার লোক আছে । তিনি সবকিছুর খোঁজখবর রাখছেন। সিমেন্টের আস্তরণযুক্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে , তিনি বলেন কাজ অনেক ভালো হচ্ছে। ভালো কম্প্যাকশন আসার জন্য উপরে হালকা একটা ছিটে খোয়া দিতেছে এইটা মনে হয় একটু দূর্বল, এইটা উপরে দূর্বলেই দেয় সাধারণত। তবে সিমেন্টের আস্তরণযুক্ত কোনো ইটের খোয়া দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ইটটা আনা হইছে একটা পুরাতন ইটখোলা থেকে, মালটা যে ভাঙছে এইটা হয়তো নিচের দিকের যে ইটটা এইরকম হতে পারে। তবে সিমেন্টের আস্তরণযুক্ত ইটের খোয়া হওয়ার কথা না। কারণ আমরা পুরনো কোনো দেয়াল ভাঙা আনি নাই। সরজমিনে দেখার কথা বলা হলে তিনি বলেন, এইরকম দুই একটা ইটের কণা হলে হতেও পারে। তবে আমি এইরকম পায়নি।