
ঠাকুরগাঁও জেলার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.আজমির শরীফ মারজির নেতৃত্ব
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা অভিযান চালায় ছয় সদস্যের দুদক টিম। দুদকের অভিযানে চিকিৎসা সেবার মান,রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, সরকারি ঔষধ বিতরণের অনিয়ম, দুর্ভোগসহ নানান অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ গুলো প্রমাণ পায়। এসময় রোগীদের খাদ্য সরবরাহে চিকন চালের ভাত পরিবেশনের কথা থাকলেও মোটা চালের ভাত পরিবেশন করা হয়, বয়লার মুরগির মাংস দুপুর ও সন্ধ্যায় ১১৮ গ্রাম দেওয়ার কথা থাকলেও শুধু দুপুরে দেওয়া হয় এবং সরবরাহকৃত মাংসের ওজন মাত্র ২৮ গ্রাম পাওয়া যায়।
রোগী ছদ্মবেশে ডাক্তার নিকট চিকিৎসা নিতে গেলে, ডাক্তার সাহেব প্যারাসিটামল ওষুধ চিকিৎসা পত্রে লিখে বাইরে কিনে নেওয়ার পরার্মশ প্রদান করেন, তিনি বলেন, এখানে ভালো মানের ওষুধ নেই অথচ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ সরবরাহ রয়েছে। রান্না করার জন্য বোতলজাত তৈল ব্যবহার করার কথা থাকলেও খোলা তেল ব্যবহার করা হচ্ছে।রোগীদেরকে ডাক্তার ও নার্সরা বাইরে থেকে ঔষধ কেনার পরামর্শ দেন।
হাসপাতালের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মেশিনগুলি নষ্ট, যার ফলে বাইরে থেকে রোগীদের উচ্চ মূল্যে টেস্ট করাতে হচ্ছে।যা রোগীদের পক্ষে খুবই কষ্টকর।
দ্রুত মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষে পরামর্শ দেন দুদক।
অভিযানের সময় অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো দুর করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ দাখিল করবেন, এমনটাই জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো.আজমীর শরিফ মারজি।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভিযানের সামগ্রিক অনিয়মের তথ্য ব্যাপারে হাসপাতাল প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে।
মো.আজমির শরীফ মারজি বলেন ডাইনিং এর দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তি কেন করা হবে না, মর্মে শোকজ করে, সঠিক জবাব চেয়েছেন এবং উত্তর পেলে কমিশনের নিকট সুপারিশ দাখিল করবেন।
তিনি আরও বলেন হাসপাতালের নার্সরা বিভিন্ন সময় রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে এই বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করেছি। তাদের আচরণে অসন্তুষ্ট রোগীরা এমন প্রমাণ দিয়েছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শামীমুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান এসব কাজে যারা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্ৰহণ করা হবে।