০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার অবসান, দেশে ফিরছে প্রবাসী রুবেলের নিথর দেহ

ভালোবাসার পরিবার আর স্বপ্নে ভর করে সৌদি আরবের পথে পা বাড়িয়েছিলেন রুবেল।
কিন্তু আজ তিনি ফিরছেন—একটি কফিনে বন্দী হয়ে। দীর্ঘ এক বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে, আগামীকাল দেশে আসছে সৌদি আরবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৪নং ভূজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড তালুকদার পাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের দিকে পরিবারের অভাব ঘোচাতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের তাগিদে রুবেল সৌদি আরব পাড়ি জমান। কিন্তু প্রবাসে তার দিনগুলো সুখের ছিল না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় একদিন তিনি দোকান থেকে মালিকের অনুমতি ছাড়াই একটি বার্গার খেয়ে ফেলেন। এতটুকুই ছিল তার “অপরাধ। এর জেরে শুরু হয় নির্মম নির্যাতন—নিপীড়নের সেই কালো অধ্যায় রুবেলের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে নীরবে নিঃশেষ করে দেয়।
নির্যাতনে গুরুতর আহত হলে তাকে মদিনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জুলাই ২০২৪ সালে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন রুবেল। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই—মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবার ছুটে বেড়ায় এক দুয়ার থেকে আরেক দুয়ারে।
অবশেষে দীর্ঘ এক বছরের আইনি জটিলতা শেষে, রুবেলের নিথর দেহ দেশে ফেরত আসছে আগামীকাল।
রুবেলের প্রতিবেশী মো. মাসুদ রানা বলেন,
রুবেল ছিল অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, পরিশ্রমী ছেলে। তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। পিতা মোহাম্মদ ফুল মিয়ার এই ছেলেটা পরিবারের জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেল। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ রুবেল ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন—আমিন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মালয়েশিয়াতে রনির অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে

দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার অবসান, দেশে ফিরছে প্রবাসী রুবেলের নিথর দেহ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
ভালোবাসার পরিবার আর স্বপ্নে ভর করে সৌদি আরবের পথে পা বাড়িয়েছিলেন রুবেল।
কিন্তু আজ তিনি ফিরছেন—একটি কফিনে বন্দী হয়ে। দীর্ঘ এক বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে, আগামীকাল দেশে আসছে সৌদি আরবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৪নং ভূজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড তালুকদার পাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের দিকে পরিবারের অভাব ঘোচাতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের তাগিদে রুবেল সৌদি আরব পাড়ি জমান। কিন্তু প্রবাসে তার দিনগুলো সুখের ছিল না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় একদিন তিনি দোকান থেকে মালিকের অনুমতি ছাড়াই একটি বার্গার খেয়ে ফেলেন। এতটুকুই ছিল তার “অপরাধ। এর জেরে শুরু হয় নির্মম নির্যাতন—নিপীড়নের সেই কালো অধ্যায় রুবেলের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে নীরবে নিঃশেষ করে দেয়।
নির্যাতনে গুরুতর আহত হলে তাকে মদিনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জুলাই ২০২৪ সালে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন রুবেল। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই—মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবার ছুটে বেড়ায় এক দুয়ার থেকে আরেক দুয়ারে।
অবশেষে দীর্ঘ এক বছরের আইনি জটিলতা শেষে, রুবেলের নিথর দেহ দেশে ফেরত আসছে আগামীকাল।
রুবেলের প্রতিবেশী মো. মাসুদ রানা বলেন,
রুবেল ছিল অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, পরিশ্রমী ছেলে। তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। পিতা মোহাম্মদ ফুল মিয়ার এই ছেলেটা পরিবারের জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেল। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ রুবেল ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন—আমিন।