০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বিশাল উলামা সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান

  • আকাশ আহমেদ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • 92
আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের জন্য সর্বোচ্চ
আসনে ছাড় দিতে প্রস্তুত জামায়াতদেশের সকল ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও পীর-মাশায়েখদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্ট চলছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ইসলামপন্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াত পূর্বের ঘোষিত যেকোন আসনের প্রার্থী সরিয়ে নিবে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একটি দল নিজেদেরকে দেশের অঘোষিত মালিক মনে করছে। তারা অপরাধীদের থানা থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিচ্ছে। দেশব্যাপী চাঁদাবাজীর মহোৎসব চলছে।অনেক এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি দলের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রদর্শন করছেন। এসব দলকানা কর্মকর্তাদের অপসারন করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের সেইসব পদে বসাতে হবে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে দেশে কোনভাবেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সবার নিকট গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সরকারকে নিরপেক্ষতার প্রমান দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংষ্কার ছাড়া যেনে তেন ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা হলে দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবেতা রুখে দাঁড়াবে।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের ঐতিহাসিক টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা ও মহানগর উলামা-মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত বিশাল উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা সকল ঘারানার আলেম-উলামা ঐক্যবদ্ধ হবেন। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরেও আলেম সমাজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবের পর সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের যেকোন সময়ের চাইতে বর্তমানে আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ। বৃহত্তর ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ইতোম্যেই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ভেতরে ভেতরে সকল ইসলামী দল ও পীর-মাশায়েখগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের সকল ইসলামপন্ধীদের ভোটের বাক্স হবে একটাই।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার আলেম-উলামাদের নির্বিচারে জেলে বন্দী করেছিলেন। অথচ সেই জেলখানাতে বসেই আলেম সমাজ নিজেদের ভেতর ঐক্যের ভীত রচনা করেছেন। আগামী নির্বাচনে সেই ঐক্যের সত্যিকারের বাস্তবায়ন জাতি দেখবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আলেম সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। অসংখ্য আলেম শহীদ হয়েছেন। দেশের মানুষের জন্য আলেমরা অকাতরে রক্ত ঝরিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আমরা আন্দোলন করেছি এবার দেশ গড়ার কাজেও আমাদের সবাইকে শীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে হত্যা করেছে। এসকল হত্যার সাথে জড়িত বিচারক, আইনজীবি, সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা যেখানে ঘাপটি মেরে আছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের পূনর্বাসন করে হাজারো শহীদের সাথে বেঈমানী জনগণ মেনে নিবেনা।
উপস্থিত আলেম-উলামাদের উদ্দেশ্য করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিটি মসজিদে জুমআর খুৎবায় ঐক্যের বানী ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের মসজিদ হবে দাওয়াতী কাজ এবং ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু। সামাজিক ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হলে ইসলামপন্থীদের বিকল্প নাই। আল্লাহর আইন এবং সৎ মানুষের  শাসন  ছাড়া কাংখিত শান্তির সমাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, মানিবক বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের বিজয় অনিবার্য্য। আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে এদেশে ইসলামের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা আলমগীর হুসাইনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়েখ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, কেন্দ্রিয় উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার, বগুড়া মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, জামিল মাদরাসার মুঈনে মুহতামিম মুফতি মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামী, কারবালা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা কাজী ফজলুল করিম রাজু, ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ.ন.ম মামুনুর রশীদ, ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, খেলাফত মজলিশের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মামুন রহমানী, উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া জেলা সভাপতি মাওলানা মমতাজ উদ্দিন। এছাড়াও স্থানীয় আলেম-উলামাগণ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ১০ দফা ঘোষনা পাঠ করে শোনানো হয়। সবশেষে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাসেত ও মহানগর  মহানগর সেক্রেটারি ড. আবু সালেহ মামুন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মালয়েশিয়াতে রনির অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে

বগুড়ায় বিশাল উলামা সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের জন্য সর্বোচ্চ
আসনে ছাড় দিতে প্রস্তুত জামায়াতদেশের সকল ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও পীর-মাশায়েখদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্ট চলছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ইসলামপন্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াত পূর্বের ঘোষিত যেকোন আসনের প্রার্থী সরিয়ে নিবে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একটি দল নিজেদেরকে দেশের অঘোষিত মালিক মনে করছে। তারা অপরাধীদের থানা থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিচ্ছে। দেশব্যাপী চাঁদাবাজীর মহোৎসব চলছে।অনেক এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি দলের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রদর্শন করছেন। এসব দলকানা কর্মকর্তাদের অপসারন করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের সেইসব পদে বসাতে হবে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে দেশে কোনভাবেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সবার নিকট গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সরকারকে নিরপেক্ষতার প্রমান দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংষ্কার ছাড়া যেনে তেন ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা হলে দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবেতা রুখে দাঁড়াবে।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের ঐতিহাসিক টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা ও মহানগর উলামা-মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত বিশাল উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা সকল ঘারানার আলেম-উলামা ঐক্যবদ্ধ হবেন। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরেও আলেম সমাজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবের পর সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের যেকোন সময়ের চাইতে বর্তমানে আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ। বৃহত্তর ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ইতোম্যেই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ভেতরে ভেতরে সকল ইসলামী দল ও পীর-মাশায়েখগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের সকল ইসলামপন্ধীদের ভোটের বাক্স হবে একটাই।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার আলেম-উলামাদের নির্বিচারে জেলে বন্দী করেছিলেন। অথচ সেই জেলখানাতে বসেই আলেম সমাজ নিজেদের ভেতর ঐক্যের ভীত রচনা করেছেন। আগামী নির্বাচনে সেই ঐক্যের সত্যিকারের বাস্তবায়ন জাতি দেখবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আলেম সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। অসংখ্য আলেম শহীদ হয়েছেন। দেশের মানুষের জন্য আলেমরা অকাতরে রক্ত ঝরিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আমরা আন্দোলন করেছি এবার দেশ গড়ার কাজেও আমাদের সবাইকে শীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে হত্যা করেছে। এসকল হত্যার সাথে জড়িত বিচারক, আইনজীবি, সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা যেখানে ঘাপটি মেরে আছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের পূনর্বাসন করে হাজারো শহীদের সাথে বেঈমানী জনগণ মেনে নিবেনা।
উপস্থিত আলেম-উলামাদের উদ্দেশ্য করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিটি মসজিদে জুমআর খুৎবায় ঐক্যের বানী ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের মসজিদ হবে দাওয়াতী কাজ এবং ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু। সামাজিক ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হলে ইসলামপন্থীদের বিকল্প নাই। আল্লাহর আইন এবং সৎ মানুষের  শাসন  ছাড়া কাংখিত শান্তির সমাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, মানিবক বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের বিজয় অনিবার্য্য। আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে এদেশে ইসলামের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা আলমগীর হুসাইনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়েখ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, কেন্দ্রিয় উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার, বগুড়া মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, জামিল মাদরাসার মুঈনে মুহতামিম মুফতি মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামী, কারবালা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা কাজী ফজলুল করিম রাজু, ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ.ন.ম মামুনুর রশীদ, ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, খেলাফত মজলিশের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মামুন রহমানী, উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া জেলা সভাপতি মাওলানা মমতাজ উদ্দিন। এছাড়াও স্থানীয় আলেম-উলামাগণ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ১০ দফা ঘোষনা পাঠ করে শোনানো হয়। সবশেষে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাসেত ও মহানগর  মহানগর সেক্রেটারি ড. আবু সালেহ মামুন।