০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহনগঞ্জের পাটিশিল্প

  • Shyamal Chowdhury
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • 28

গ্রামপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। গ্রামীণ জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে বিভিন্ন ধরণের কুঠির শিল্প। এমন একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প হলো পাটিশিল্প। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে পাটিশিল্পের কারিগর। উপজেলার জৈনপুর,ভাটাপাড়া, কেন্দুয়া, ছোট হাতনী, নোওয়াগাঁও গ্রামগুলো পাটিশিল্পের জনপদ হিসেবে পরিচিত। এ শিল্পের মূল কারিগর হলেন মহিলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায়, ঘরের মেঝে বসে আপন মনে পাটি বুনছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। বিভিন্ন সাইজের পাটি রয়েছে। সাইজ বুঝে দাম নির্ধারিত হয়।  শীতলপাটির দাম পড়ে বেশী। সাধারণ পাটি বুনতে এক সপ্তাহ, শীতলপাটি বুনতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে বলে কারিগররা জানান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পাইকাররা পাটি ক্রয় করেন। এছাড়াও উপজেলার জৈনপুরে উকিল বাজারে রয়েছে পাটির হাট। প্রতি শুক্রবার এখানে পাটির হাট বসে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসেন পাটি কিনতে। অনেকে আবার ফেরি করে পাটি বিক্রি করেন। মোহনগঞ্জের পাটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পাটির কাঁচামাল হলো মুত্তাগাছ। এর ছাল দিয়েই পাটি তৈরি হয়। কারো কারো মুত্তার বাগান থাকলেও অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুত্তা সংগ্রহ করেন। এত উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।  পাটি ব্যবসায়ী বিধু চন্দ্র কর ও  ক্ষীতিশ সরকার জানান বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের পাটি বের হয়েছে। এতে কিছুটা বেতের পাটির উপর প্রভাব পড়েছে। যতই প্লাস্টিকের পাটি বের হউক না কেন মুত্তার পাটির আবেদন ফুরাবার নয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মোহনগঞ্জের পাটিশিল্প আরো উচ্চতায় পৌঁছতে পারবে বলে পাটিশিল্পে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

📢 লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

মোহনগঞ্জের পাটিশিল্প

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

গ্রামপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। গ্রামীণ জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে বিভিন্ন ধরণের কুঠির শিল্প। এমন একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প হলো পাটিশিল্প। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে পাটিশিল্পের কারিগর। উপজেলার জৈনপুর,ভাটাপাড়া, কেন্দুয়া, ছোট হাতনী, নোওয়াগাঁও গ্রামগুলো পাটিশিল্পের জনপদ হিসেবে পরিচিত। এ শিল্পের মূল কারিগর হলেন মহিলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায়, ঘরের মেঝে বসে আপন মনে পাটি বুনছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। বিভিন্ন সাইজের পাটি রয়েছে। সাইজ বুঝে দাম নির্ধারিত হয়।  শীতলপাটির দাম পড়ে বেশী। সাধারণ পাটি বুনতে এক সপ্তাহ, শীতলপাটি বুনতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে বলে কারিগররা জানান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পাইকাররা পাটি ক্রয় করেন। এছাড়াও উপজেলার জৈনপুরে উকিল বাজারে রয়েছে পাটির হাট। প্রতি শুক্রবার এখানে পাটির হাট বসে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসেন পাটি কিনতে। অনেকে আবার ফেরি করে পাটি বিক্রি করেন। মোহনগঞ্জের পাটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পাটির কাঁচামাল হলো মুত্তাগাছ। এর ছাল দিয়েই পাটি তৈরি হয়। কারো কারো মুত্তার বাগান থাকলেও অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুত্তা সংগ্রহ করেন। এত উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।  পাটি ব্যবসায়ী বিধু চন্দ্র কর ও  ক্ষীতিশ সরকার জানান বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের পাটি বের হয়েছে। এতে কিছুটা বেতের পাটির উপর প্রভাব পড়েছে। যতই প্লাস্টিকের পাটি বের হউক না কেন মুত্তার পাটির আবেদন ফুরাবার নয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মোহনগঞ্জের পাটিশিল্প আরো উচ্চতায় পৌঁছতে পারবে বলে পাটিশিল্পে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।